(দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবুু): বেশ কিছু জনপ্রিয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে বেশ মুশকিলে পড়েছেন গ্রামের মা, কাকী, বৌদিরা। চ্যানেল গুলোর মধ্যো অন্যতম স্টার জলসা, জি বাংলা। সরকারি স্বীকৃতি না পাওয়ায় চ্যানেল গুলোর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। প্রিয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার পর থেকে তারা টিভি দেখা ছেড়ে দিয়েছেন, বল্লে ভুল হবে না।
সিরিয়াল দেখার সময় গুলো যেনো তাদের দৃর্ঘ প্রতিক্ষা প্রহর। তারা ভাবছেন চ্যানেলের সম্প্রচার করা হবে, কিন্তু বাস্তবে তো সেটি হচ্ছে না। সরকারি অনুমোদন দেওয়া ২৪টার অধিক চ্যানেলের মধ্যো তাদের প্রিয় চ্যানেল গুলো থাকছে না।
গ্রামের বেশ কিছু মা, কাকি ও বৌদিদের কাছ থেকে জানতে পারা গেছে, সিরিয়াল দেখার টাইম গুলো তাদের বেকার সময় কাটছে। তবে অনেকে বসে নেই টিভির অপেক্ষায়, বেছে নিয়েছেন বিকল্প পথ। বাড়ির ছেলে,মেয়ে বা স্মামীর হাতে থাকা স্মার্ট ফোনে থাকা ইউটিউব থেকে দেখে নিচ্ছেন প্রিয় সিরিয়াল। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন।
জয়নগর গ্রামের বাসুন্তী চক্রবর্ত্তী জানিয়েছে, দৃর্ঘ দিন ধরে দেখা প্রিয় সিরিয়াল দেখতে না পাওয়ায় তার মন খারাপের মত সমস্যায় ভুগছেন, সেই সাথে অলস সময় পার করছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন কিছু দিন পার না হলে সিরিয়াল দেখার অভ্যাস ভুলতে পারবেন না। তিনি সিরিয়াল দেখতে না পেলে টিভি আর দেখবেন না বলে পন করেছেন।
কাকুলী দাস জানিয়েছেন, সময় যেনো কাটছে না, মনে হচ্ছে দৃর্ঘ প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন তিনি। টিভিতে সম্প্রচার হওয়া, অন্য অনুষ্ঠান গুলো তার কাছে নিরামিশের মত লাগছে। সব মিলিয়ে তারা টিভি দেখার সময়টি অলস সময়ে কাটাচ্ছেন।
লিলিমা মন্ডল ও একি কথা বলছেন, সময় কাটছে না, কিছু ভালো লগছে না, সবসময় যেনো প্রিয় সিরিয়াল গুলোর কথা মনে পড়ছে। তাদের দেখা প্রিয় সিরিয়াল গুলোর কথাও তিনি জানিয়েছেন, স্টার জলসার সিরিয়াল গুলোর মধ্যো, খড়কুটা, মাহাপিট তারাপিট, মোহর, তিতলি, সাজের বাতি, ধ্রুবতারা, শ্রীময়ী, মিঠাই জি বাংলা ইত্যাদি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।