বিভিন্ন কারণে ঝগড়া তিন ভাইয়ের মধ্যে। সেই ঝগড়ার সুত্র ধরেই মায়ের শেষ বয়সে তাকে ফেলে বিদেশ পাড়ি জমায় সন্তানেরা। এই পারিবারিক সম্পর্কের সুত্রেই বোনা হয়েছে ‘মায়ের ডাক’ নাটকের গল্প। গতানুগতিক ধারার বাইরে এমন গল্প মন ছুঁয়েছে দর্শকদের।
আকবর হায়দার মুন্নার গল্পে এ নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ।
ঈদে শতাধিক প্রকাশিত নাটকের ভিড়েও নজর কেড়েছে ‘মায়ের ডাক’, সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে। পাশাপাশি অর্জন করছে ভূয়সী প্রশংসা। ইউটিউব থেকে নাটকটি দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে মন্তব্য করছেন হাজার হাজার দর্শক। তারা তাদের অনুভূতি লিখছেন কমেন্ট বক্সে যা চোখ এড়ায়নি।সেই সাথে আবেগে ভাসিয়েছে দর্শকদের।
‘মায়ের ডাক’ নাটকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী দিলারা জামান। তিন ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহসান খান, তৌসিফ মাহবুব ও জোভান। তাদের সঙ্গে ছিলেন মম, তাসনিয়া ফারিণ ও কেয়া পায়েল। আরেক চরিত্রে দেখা গেছে শাহেদ আলীকে।
ঈদুল আজহায় ১০টি নাটক পরিচালনা করেছেন বান্নাহ। প্রকাশ পেয়েছে সুইপারম্যান, দ্য টিচার, মায়ের ডাক, হোম পলিটিক্স। প্রত্যেকেটি কাজ প্রশংসা অর্জন করেছে। তবে ‘মায়ের ডাক’ থেকে লাখ লাখ মানুষের প্রশংসা পেয়ে পরিচালক বান্নাহ নিজেও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ছেন।
বান্নাহ বলেন, মানুষের প্রশংসা নিতে নিতে আমি ক্লান্ত৷ আনন্দে আমার কয়েকবার চোখ ভিজে গেছে। অনেকে আমাকে জানাচ্ছে, ভুল বোঝাবুঝির জন্য মাকে গিয়ে সরি বলছেন। বিশেষ করে প্রবাসীরা এ নাটক দেখে মায়ের কাছে যেতে চাইছেন।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি সুখের অভিজ্ঞতা পরিবার নিয়ে সবাই কাজটি দেখছেন। একে অন্যকে দেখতে সাজেস্ট করছেন। নাটকটি দেখার পর মানুষ স্বেচ্ছায় শেয়ার করছেন। আবেগ মিশ্রিত কথায় ক্যাপশন লিখছেন। ২৩ ঘণ্টায় মিলিয়ন ভিউস অতিক্রম করেছে। এই আনন্দের চেয়ে বড় হাজার হাজার ইমোশনাল মন্তব্য আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।