![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/03/shilpi20200519134919-2203011250.jpg)
নায়িকা শিল্পী
নায়িকা শিল্পী
‘প্রিয়জন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘মুক্তি চাই’, ‘লাভ লেটার’, ‘বীর সন্তান’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘দোস্ত আমার দুশমন’, ‘গৃহবধূ’, ‘কে আমার বাবা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘শক্তের ভক্ত’, ‘সুজনবন্ধু’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমার নায়িকা শিল্পী। তবে ‘প্রিয়জন’ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এই নায়িকা। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই নায়িকা হঠাৎ করে চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে সরে দাঁড়ান। ২০০০ সালের পর তাকে আর কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনে ভোট দিতে এফডিসিতে যান শিল্পী। এ সময় তিনি জানান—শিল্পী সমিতির চলমান ঘটনা শিল্পী সত্তায় আঘাত লেগেছে। শিল্পীদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। শিল্পীরা টাকায় বিক্রি হয় না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইন্ডাস্ট্রির সম্মান মাটিতে মিশে গেছে। তা জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, ‘একজন একটা উপহার দেবে তাতেই তাকে ভোট দিয়ে দেবে সেটা ভাবা ভুল। টাকায় ভোট বিক্রি হয় না। এবারের নির্বাচন ঘিরে নোংরামি একটু বেশিই হয়েছে। এমনটা প্রত্যাশা করি না। ইন্ডাস্ট্রির যে সম্মান ছিল তা মাটিতে মিশে গেছে।’
চলমান সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, ‘কেউ তো সমাধান করতে এগিয়ে আসেননি। সিনিয়র অনেকেই ছিলেন। যার যেখানে মন চেয়েছে সাপোর্ট করেছে। পক্ষ নিয়ে কথা বলেই যাচ্ছে। তারাও তো পারতেন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে। সিনিয়রদের উচিত ছিল ঘরের বিষয় ঘরে বসে সমাধান করা; আদালত পর্যন্ত যাওয়া ঠিক হয়নি।’
‘এখন যে অবস্থায় চলে গেছে তাতে আর উপায় নেই। পাস করেও যখন বলা হয় পাশ করেনি তখন তো আদালতে যেতেই হবে। নিজেরা চাইলে সমাধান করা যেত। এবার নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে ইউটিউবারের আনাগোনা বেড়েছে। তারা একটা পজিটিভ বিষয়কে রসিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। আবার ইউটিউবারদের পেয়ে আমরাও বলার সময় কিছু না ভেবেই যার যার মতো করে বলে যাচ্ছি। এতে করে দিন শেষে আমাদেরই বদনাম হয়। বলেন শিল্পী।
শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন? উত্তরে শিল্পী বলেন, ‘তাদের তো কারো একার সিদ্ধান্তে সহযোগী সদস্য করা হয়নি। মিটিংয়ের মাধ্যমে সবার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগী সদস্য করা হয়। এতে কমিটি ও সিনিয়র উপদেষ্টারা স্বাক্ষর করেছেন। তারপরই সহযোগী সদস্য করা হয়। এককভাবে তো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারপরও এটা নিয়ে কেন এত কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এটাকে ইস্যু করে এতো নোংরামি করা ঠিক না। চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যু বাদ দিয়ে এটা নিয়ে কেন এত কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে? চলচ্চিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হওয়ার পথে। সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। একটা ইস্যু নিয়েই সবাই পড়ে আছে। ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে মাথা ব্যথা না থাকলেও চেয়ার দখল নিয়ে চলছে নোংরামি। এটা ঠিক না।’
চেয়ারে না বসেও অনেক কিছু করা যায় তা উল্লেখ করে শিল্পী বলেন, ‘চাইলে নির্বাচন না করেও বাইরে থেকে অনেক কাজ করা যায়। যেটা আমি করে আসছি। ২০ বছর আগে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়লেও এখনো সহযোগিতা করছি। সবসময় চেষ্টা করি স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশে থাকতে। আগামী দিনেও সবাই আমাকে পাশে পাবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।