২০২০ সালের মে মাসে ফেসবুকে পরিচয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম দেখা। তারপর আলাপ। যার পরিণতি বিয়ে। চুপি চুপি গত মাসে বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেতা নিলয় আলমগীর। স্ত্রীর নাম তাসনুভা তাবাসসুম। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের এক হাজারের ওপরে ছবি তুলেছেন। বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি আপলোডও করেছেন। কিন্তু সেসব ছবির মন্তব্যের ঘরে নেতিবাচক, কুরুচিপূর্ণ কমেন্ট করা হচ্ছে। এসব কমেন্টের ভয়ে বিয়ের আর কোনো ছবি আপলোড করতে পারছেন না তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার এমন হতাশার কথা জানিয়েছেন এ অভিনেতা।

আর নিলয়ের সেই স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনেত্রী শবনব ফারিয়া। নিলয়কে শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘স্যরি নিলয় ভাই, কেউ ভালো আছে, সুস্থ আছে, সুখে আছে, খুশি আছে দেখলে আমরা সহ্য করতে পারি না! তাদের টেনে ধরে নিচে নামাতে ইচ্ছে হয় আমাদের! আমাদের নিজেদের জীবনে কোনো সুখ নেই। তাই অন্য কারোর ভালো থাকাও মেনে নিতে পারব না। আমরা এমনই হিংসুটে, প্লিজ কষ্ট পেও না।

তুমি সেটিই করো, যেটি তোমাকে খুশি দেয়! অনেক অনেক দোয়া আর শুভকামনা তোমার নতুন জীবনের জন্য’ অভিনেতা নিলয় আলমগীরের দ্বিতীয় বিয়ে এটি। মাসখানেক আগে বিয়ে করলেও বিষয়টি জানিয়েছেন গত বুধবার। নিজের ফেসবুকে বিয়ের কিছু ছবি আপলোড করে খবরটি প্রকাশ করেন নিলয়। আর এর পর থেকেই স্ত্রী তাবাসসুম হৃদির সঙ্গে তার ছবি পোস্ট করলেই কিছু বাজে মন্তব্য জমা পড়ছে মন্তব্যের ঘরে। নেটিজেনদের এমন আচরণে হতাশ নিলয়। বিষয়টি উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিলয়।

সেই স্ট্যাটাসে নিলয় লিখেছেন, ‘কী যে একটা সমস্যায় আছি। বিয়ে করেছি, দ্বিতীয় বিয়ে। হালাল সম্পর্ক, বৈধ সম্পর্ক। চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ তো আর করিনি। নতুন বউয়ের সঙ্গে হাসিখুশি ছবি দিলে কমেন্ট করছে- ‘এত নির্লজ্জ কেন আপনি, দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন আবার বউয়ের সঙ্গে ছবি দেন। একা ছবি দিলাম, তাতেও সমস্যা— বিয়ের পর একা ছবি কেন। আমার বিড়ালের সঙ্গে ছবি দিলাম, সেটিও সমস্যা। এক হাজারের ওপরে ছবি তুলেছি। গালি খাওয়ার ভয়ে পোস্ট করতে পারছি না। আমার এত ছবি লইয়া আমি এখন কোথায় যাব।

’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বিয়ে করেন নিলয়। প্রেম করে তিনি বিয়ে করেছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী আনিকা কবির শখকে। সেই বিয়ে টেকেনি। আলোচনার মাধ্যমে দুই তারকা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। নিলয়ের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাবাসসুম হৃদি। তিনি ঢাকার হোম ইকোনমিকস কলেজের শিক্ষার্থী।