দু-বছরের ব্যাবধানে দুর্গাপুজাটা এক্কেবারে বদলে গিয়েছে রোশন-শ্রাবন্তীর জীবনে। গত বছর শ্রাবন্তীর দুর্গাপুজোয় আবাসনের পুজোতে রোশনের দেখা না পাওয়া যাওয়ার পরেই দুজনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন সামনে এসেছিল।
এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই দুজনের দাম্পত্য কহল প্রকাশ্যে এসেছে। সামানাসামনি কাদা ছোঁড়াছুঁড়িও কম হয়নি। তবে রোশন সিং মাস কয়েক আগেও প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসার করতে আগ্রহী তিনি। জুন মাসে ‘বৈবাহিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন রোশন, উদ্দেশ্য ছিল বউকে ঘরে ফিরিয়ে আনা (বা বউয়ের ঘরে ফিরে যাওয়া)। শিয়ালদহ ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টে মামলা রুজু করেন শ্রাবন্তীর তৃতীয় স্বামী। কিন্তু কাগজে কলমে তিন নম্বর বিয়ে পাট চুকিয়ে ফেলতে চান অভিনেত্রী।গত মাসেই সামনে আসে আলিপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন শ্রাবন্তী। রোশনের দায়ের করা মামলার লিখিত জবাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলা দায়ের করবার কথা আদালতকে জানিয়েছেন শ্রাবন্তীর আইনজীবী।
কিন্তু এরপর প্রায় দিন এক মাস কাটলেও এখনও ডিভোর্স নোটিস হাতে পাননি রোশন সিং। এখানেই শেষ নয়, জানা গিয়েছে ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ১২৫ ধারা অনুযায়ী রোশনের কাছ থেকে ভরণপোষণের জন্য টাকা চেয়েছেন শ্রাবন্তী। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে রোশন সিং জানিয়েছেন, ‘খোরপোষের মামলার কোনও কাগজপত্র আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। তাই এ বিষয়ে আমি এখনও কিছু বলতে চাই না। যা বলার আমার আইনজীবী বলবেন’। স্ত্রীর বিরুদ্ধে রোশনেরও বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। নায়িকার অনেক বন্ধুর সঙ্গেই তাঁর যোগযোগ রয়েছে। আর সেখান থেকেই তিনি জানতে পেরেছেন ঘনিষ্ঠমহলে রোশনকে নিয়ে নানান বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে চলেছেন নায়িকা। রোশনের অনুযোগ, ‘আমি শুনছি শ্রাবন্তী নাকি বলেছে, আমি মোটা। ওজন বেশি হওয়ার জন্য আমি নাকি সঙ্গমে সক্রিয় নই’। এই ধরণের কুরুচিকর মন্তব্য মর্মাহত রোশন। রোশনের কথায় শ্রাবন্তী নিজে সরাসরি একথা তাঁকে না বললেও, যাঁদের মুখে তিনি একথা শুনেছেন তাঁরা সকলেই বিশ্বস্ত বন্ধু। রোশনের কথায়, তাঁকে চোর অপবাদও দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি নাকি শ্রাবন্তীর ১ কোটি টাকা নিয়ে চলে গিয়েছেন।
অন্যদিকে টলিপাড়ায় ইতিমধ্যেই গুঞ্জন ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন শ্রাবন্তী। অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে শ্রাবন্তীর প্রেম এখন টলিগঞ্জের ওপেন সিক্রেট। রোশন-শ্রাবন্তীর সম্পর্কের সমীকরণ এখন কোনদিকে গড়াবে সেটাই দেখবার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।