বলিউড অভিনেত্রী ফারুক জাফর (৮৮) আর নেই। সোমবার সন্ধ্যায় লখনৌয়ে ‘গুলাবো সিতাবো’ -র অভিনেত্রী ইন্তেকাল করেছেন বলে শনিবার অভিনেত্রীর মৃত্যু সংবাদ টুইটারে জানিয়েছেন তার নাতি শাজ আহমদ। সুজিত সরকার পরিচালিত ছবি ‘গুলবো সিতাবো’তে অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ফারুক।
তার আগে আমির খান প্রযোজিত ‘সিক্রেট সুপারস্টার’, সালমান খানের ‘সুলতান’ ছবিতেও দেখা গেছে তাকে। ৪০ বছরের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শুধু গত ২০ বছরেই একডজনের বেশি ছবি করেছেন ফারুক। এর মধ্যে রয়েছে ‘পার্চড’, ‘পিপলি লাইভ’, ‘স্বদেশ’-এর মতো ছবি রয়েছে। তার নাতি শাজ আহমদ লিখেছেন— আমার দাদি,
স্বাধীনতা সংগ্রামী এসএম জাফরের স্ত্রী এবং প্রবীণ অভিনেত্রী ফারুক জাফর সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় লখনৌয়ে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। বলিউডের চিত্রনাট্যকার জুহি চতুর্বেদীও ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রীকে স্মরণ করে লিখেছেন, বেগম চলে গেলেন। ফারুকজি আপনার মতো মানুষ অতীতে ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবে না।
আমাকে আপনার সঙ্গ পাওয়ার সুযোগ দিয়ে ধন্য করেছিলেন। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। ১৯৩৩ সালে জৌনপুরের এক জমিদারের পরিবারে জন্ম ফারুকের। ১৬ বছর বয়সে লখনৌয়ে চলে আসেন। পরে সাংবাদিক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ মহম্মদ জাফরকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন ফারুক। পরে অল ইন্ডিয়া রেডিওর সংগীতশিল্পী হিসেবে যোগ দেন।
লখনৌ রেডিওর তিনিই ছিলেন প্রথম নারী শিল্পী। পরে অবশ্য গান ছেড়ে থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮১ সালে মুজাফ্ফর আলির ছবি ‘উমরাও জান’-এ তার বলিউডে হাতেখড়ি। ছবিতে রেখার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফারুক। তবে তার পর দীর্ঘদিন তাকে বলিউডের কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি।
ফারুকের দ্বিতীয় ছবি মুক্তি পায় ২৩ বছর পর। ২০০৪ সালে শাহরুখ খানের ছবি ‘স্বদেশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। এর পর চক্রব্যূহ, তনু ওয়েডস মনু, আম্মা কি বোলির মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। শেষ তাকে দেখা যায় সুজিত সরকার পরিচালিত ‘গুলাবো সিতাবো’ ছবিতে। ছবিটির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান ফারুক। সহ-অভিনেত্রী বিভাগে তিনিই ছিলেন প্রবীণতম বিজেতা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।