কলকাতার বাংলা টেলিভিশন ও সিনেমার অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। পঞ্চাশের গণ্ডি পেরিয়েও দাপটের সঙ্গে ছোট পর্দা কিংবা বড় পর্দায় অভিনয় করে চলেছেন।
শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি টেলিভিশনেও সফল ইন্দ্রাণী হালদার। অভিনেত্রীর গুণমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যা অগুনতি।
কখনো ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, আবার কখনো ‘শ্রীময়ী’ হিসেবে দর্শক মনে রাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এত সাফল্য সত্ত্বেও ইন্দ্রাণী হালদারের জীবনে একটা বড় আক্ষেপ রয়ে গেছে। কী সেই আক্ষেপ?
টেলিভিশনের পর্দার আদর্শ বউ, মা ইন্দ্রাণী হালদার। বছরখানেক আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘অপুর সংসার’-এ হাজির হয়েছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার। সেখানেই মনের ঝাঁপি খুলেছিলেন ‘শ্রীময়ী’। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে কত নম্বর দেবে?’ অভিনেত্রীর চটপট জবাব ছিল, ‘১০-এ জিরো। আমি একদম বাজে বউ…বরকে সকালবেলা রান্না করে ভাত বেড়ে দিই না। বর কলকাতায় এলে বলি ভাত বেড়ে খেয়ে নিও, আমার শ্যুটিং আছে…চলো টাটা। …১০০ শতাংশ বউয়ের ডিউটি আর কোথায় করতে পারলাম। ‘
আর কী করলে নিজেকে একটু বেশি নম্বর দিতে? শাশ্বতর প্রশ্ন শুনে অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা কথা যেটা সবার সামনে স্বীকার করতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। শুধু ক্যারিয়ার…কাজ আর কাজ, দায়িত্ব পালন করতে করতে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যে খুব আফসোস। ভাস্কর (অভিনেত্রীর স্বামী) মাঝে মাঝে বলে, সারা জীবন দায়িত্ব পালনই করে গেলে সংসারের জন্য। ‘
তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাচ্চা হওয়ার জন্য, কিন্তু হলো না। এরপর আমরা হাল ছেড়ে দিই, তখন আমাদের দুজনেরই বয়স ৪০ পেরিয়েছে। আমি বলেছিলাম সন্তান দত্তক নিই, কিন্তু ভাস্কর রাজি হলো না। আমার মনে হয় এই জিনিসটা, সন্তানের সুখটা আমি ভাস্করকে দিতে পারতাম, সেটা আমি পারিনি। ‘
তবে মা না হতে পারর জন্য নিজেদের দাম্পত্য জীবনে কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি যোগ করেন অভিনেত্রী। বলেন, সবটাই মানিয়ে নিয়েছেন দুজনে। সঞ্চালক শাশ্বত পরিস্থিতি সামলে বলেন, ‘সন্তানের জন্ম দেয়নি তো কী, ও আমাদের পুরো ইন্ডাস্ট্রির মামণি (এই নামেই টলিউডে পরিচিত ইন্দ্রাণী)। ‘ এই শুনে হেসে ফেলেন অভিনেত্রী।
আর বলেন, ‘সন্তানের জন্ম না দিলেও আমার অনেক সন্তান রয়েছে, তাদের নিয়েই আমি খুশি আছি। ‘ পুরনো এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে, আর ইন্দ্রাণী ভক্তদের মন জিতে নিচ্ছে এটি।
হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।