জনপ্রিয় নাট্যকারদের নিয়ে গত ১৮জুন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। নাট্যকারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান, হারুন রশীদ, মাসুম আজিজ, মামুনুর রশীদ, মাসুম রেজা, এজাজুর রহমান এজাজ, এজাজ মুন্না, অনিমেষ আইচ, নিমা রহমান, মাতিয়া বানু শুকু, আনজীর লিটন, লিটু সাখাওয়াত, খাইরুল আলম সবুজ প্রমুখ।

আরো ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, উপমহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ, ঢাকা কেন্দ্রের জি এম নাসির মাহমুদ, নূর আনোয়ার হোসেন, মাহবুবা ফেরদৌসসহ বিটিভির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন,‘দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম নাটক।

মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার, দুঃসাশনসহ সকল কর্মকাণ্ড নাটকের মাধ্যমে উঠে এসেছে। বিটিভিতে দিনে দিনে নাটকের প্রচার সংখ্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ’ তিনি নাট্যকারদের কাছে আরো ভালো মানের স্ক্রীপ্ট চাওয়ার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের উন্নয়ন, পরিবর্তন, অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নাটক রচনা করতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক হারুন রশীদ। তিনি নাটকের ব্রান্ডিং বাড়ানোর পাশাপাশি সেট নির্মাণে আরো যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। বিটিভির পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ নাটকের স্ক্রীপ্ট ও শিল্পী নির্বাচন কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে বিটিভির নাটক আরো বেশি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে- এসব ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করতে নাট্যজনদের আহ্বান জানান।

নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘নাটককে শিল্পর দিকে ধাবিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভালো গল্প, কাস্টিং, এডিটিং, প্রমোশনাল জরুরি। নাট্যকার রেজাউর রহমান এজাজ বলেন,‘বিটিভিকে ভালো মানের নতুন নতুন অভিনয়শিল্পী তৈরি করতে হবে। নাটকের প্রচার আরো বাড়াতে হবে। ভালো মানের নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এসব নাটকের প্রমোশনাল দিক আরো জোরদার করার পরামর্শ দেন নাট্যকার মাসুম রেজা।

অনিমেষ আইচ তার বক্তব্যে বলেন, ‘টিভিতে সামগ্রিক পরিবর্তন দরকার। বর্তমানে দর্শকরা কেন বিটিভি দেখবে, সারা পৃথিবীর অনুষ্ঠানগুলো কেমন হচ্ছে, অনুষ্ঠানে কী প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, এডিটিং কী হচ্ছে এসব নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। নাট্যজনদের বক্তব্য শেষে মহাপরিচালক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপনী ঘোষণা করেন।