চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে ও সন্তান নেওয়া— সব মিলিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শবনম বুবলী। বিয়ের ঘোষণা ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনা নিয়ে শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বুবলী দুজনের টানাপোড়েন গোপন রাখতে চাইলেও পারেননি। শাকিবের অপর নায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে।

এই তো দিন কয়েক আগে বুবলীর জন্মদিন ছিল। সেই সময় তিনি জানান, শাকিব তাকে হীরার নাকফুল উপহার দিয়েছেন। এটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশও করেন বুবলী। এতে ধারণা করা হচ্ছিল দুজনের সম্পর্কের মাঝখানে যে বরফখণ্ড জমাট বেঁধে আছে, সেটি গলতে শুরু করেছে।

কিন্তু সেটি আর হলো কই। বুবলীর বক্তব্যের খবরের লিংক শেয়ার করেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী নায়িকা অপু বিশ্বাস। সঙ্গে জুড়ে দেন তাচ্ছিল্যের হাসিমাখা মন্তব্য। এর পর বুবলীও পাল্টা জবাব দেন। অপু-বুবলীর মধ্যে এক প্রকার অন্তর্জাল যুদ্ধ লেগে গেছে।

পুরো বিষয়টি নিয়ে শাকিব খান প্রথমে চুপ ছিলেন। পরে মুখ খুলেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন— বুবলীর সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগই নেই; হীরার নাকফুলের কথাও সত্য নয়। এমনকি অপুর মতো বুবলীকেও নিজের অতীত বলে মন্তব্য করেছেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক।

শাকিবের এ বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বুবলীর। এ নায়িকা মনে করছেন, তৃতীয় কারও চাপে পড়ে শাকিব তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বুবলী বলেছেন, ‘প্রায় সাত বছর ধরে তার (শাকিব) সঙ্গে সম্পর্ক। এই সাত বছরে কখনো তার সম্মানহানি হয় এমন কোনো কথা কোথাও বলিনি। তার সম্মান যেন ঠিক থাকে সর্বদা সেদিকে খেয়াল করে চলেছি। তার অনুমতি নিয়েই অন্য নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু তাতে কী হলো? সে তো একের পর এক মন্তব্য করে আমার সম্মানহানি করছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’

সন্তান শেহজাদ খান বীরের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবার সবার সামনে মুখ খুলবেন বলে হুশিয়ারি দিলেন বুবলী। যে কোনো সময় সংবাদ সম্মেলন করবেন। বুবলী মনে করেন, কারও চাপে পড়ে শাকিব এমন করছেন। ‘কার কথার চাপে পড়ে এমন হয়েছে আমার জানা নেই। যখন যা ইচ্ছা করবে এটি মেনে নেব না। কাকে খুশি রাখতে এমন হচ্ছে বলতে পারব না। আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে চাচ্ছি সবার সামনে।’

বুবলীর ভাষ্য— ‘দুদিন পর পর আমাকে নিয়ে এভাবে মন্তব্য করা তো মেনে নেওয়া যায় না। আমি তো সবকিছু ঠিক রাখতে কম চেষ্টা করিনি। যখন তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, তখন একরকম। আবার একটু দূরে এলেই আরেক রকম।