সঞ্চালক-কমেডিয়ান হিসেবে দুই বাংলায় দারুণ খ্যাতি রয়েছে মীর আফসার আলীর। পশ্চিমবঙ্গের জি-বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মীরাক্কেল’ উপস্থাপনা করে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন তিনি। অভিনয়ের জন্যও সুখ্যাতি রয়েছে তার।
কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি নাচের ভিডিও পোস্ট করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন মীর। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলপ এঁটেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও পুনরায় শেয়ার করে বললেন—‘আমার এই ভিডিওটার ১ মিলিয়ন ভিউ চাই-ই চাই!’ তবে মীরের এই চাওয়া পূরণ হতে চলেছে। কারণ এ পর্যন্ত ভিডিওটির ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখের বেশি।
পুনরায় ভিডিওটি শেয়ার করার কারণে মীর ভক্তরা যথেষ্ট হতাশ। নেটিজেনরাও ফের তীব্র সমালোচনা করছেন তার। মেহেদি হাসান লিখেছেন, ‘ওনার ছেলে-মেয়েরা এই পেজ ফলো করে নিশ্চয়ই। ভালো শিক্ষা দিচ্ছে ওনার সন্তান ও সন্তান তুল্য ফলোয়ারদের!’ নন্দিতা বসু লিখেছেন, ‘নোংরা মানসিকতা।’ সন্দীপ মল্লিক লিখেছেন, ‘সানডে সাসপেন্স করে যে সুনামটা পেয়েছেন তা নিজের হাতেই বদনাম করে দিলেন।
আপনি মেধাবী, সেই অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করুন।’ গত ১৪ জুন মীর তার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভিডিওতে দেখা যায়, হোটেল রুমের খাটে দাঁড়িয়ে ‘তুমি কেন সরে আছো’ শিরোনামের গান গাইছেন মীর। আর তার সঙ্গে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচছেন তিনি। আর এই নাচকে ‘অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেন নেটিজেনরা।
ভারতের ডিডি বাংলা চ্যানেলের নিউজ প্রোগ্রাম ‘খাস খবর’-এর মাধ্যমে প্রথম টেলিভিশন পর্দায় হাজির হন মীর। তারপর ‘হাউ মাউ খাউ’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল’ শিরোনামে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। কিন্তু উপস্থাপক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন জি-বাংলার ‘মীরাক্কেল’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সংগীত চর্চাও করেন। ‘ব্যান্ডেজ’ শিরোনামে মীরের একটি গানের দলও রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।