শোয়ের পর দুদিন পার হয়ে গেছে। এখনও অরিজিতের নেশা কাটেনি শহরবাসীর। যারা শোতে যাননি তারাও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গোটা ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন। বাংলা গানে গানে আসর জমিয়ে তুলেছিলেন বেশরম রং গায়ক।
মঞ্চে তাকে কখনও মান্না দের গান গাইতে দেখা গেল। কখনও বা রূপম ইসলামের সঙ্গে যুগলবন্দি গাইলেন। রকস্টারের একটার পর একটা গানে মঞ্চে আগুন ঝরালেন অরিজিৎ, ভক্তদের মনেও, কখনও বা একটার পর একটা জনপ্রিয় ব্যান্ডের গান তো কখনও বর্তমান সময়ের ভালোবাসার মরশুম। সেকাল থেকে একাল বাংলা গানের মেলা বসিয়েছিলেন যেন তিনি মঞ্চে। গোটা অনুষ্ঠান দেখে এটুকুই বলা যায়, তিনি এলেন, রাজত্ব করলেন, ফিরে গেলেন। এই জমজমাট অনুষ্ঠানে মাটির সঙ্গে যোগ রেখেই একটা গোটা সন্ধ্যা মাতিয়ে তুলে ছিলেন তিনি। কিন্তু কীভাবে বা কারা এই গান সাজালেন, অনুষ্ঠানের আগের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অরিজিতের ব্যান্ডের গিটারিস্ট জন পল এই সময়কে একাধিক তথ্য দেন।
স্টেজে ওঠার আগে গায়ক কী করেন সেই প্রসঙ্গে জন বলেন, আমি অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু অরিজিতের সঙ্গে কাজ করাটা বরাবর একটু বিশেষ। তিনি ব্যান্ডের সমস্ত শিল্পীকে স্বাধীনতা দেন। কোনও গান যাতে স্টেজে আরও ভালো করে উপস্থাপন করা যায় সেটার জন্য সমস্ত শিল্পীই নানা পরিকল্পনা করেন, নানা ভাবনা ভাবেন। অরিজিৎ সমস্ত শিল্পীকে সেই জায়গা দেন যাতে তারা নিজেদের স্বাধীন ভাবনাকে মঞ্চে নিয়ে আসতে পারেন। উপস্থাপন করতে পারেন।
তিনি বলেন, বাংলা আমার ভালোবাসা, আবেগও। অরিজিৎ নিজে বাংলাকে, বাংলা ভাষাকে ভীষণ ভালোবাসেন। সেদিক থেকে মানসিকভাবে আমাদের ধারণা কিছুটা এক। এই কনসার্টের জন্য অরিজিৎ বাংলা গান বেছে নিয়েছিলেন কিছু। আমার সৌভাগ্য হয় তার সঙ্গে বসে গোটা বিষয়টা ডিজাইন করার যে কোন কোন গান হবে না হবে সেটার। খুব সুন্দর সময় কেটেছে। এমন গানও আমরা গেয়েছি যা ছোট বেলায় শুনেছি। এখন আর সেভাবে শোনা হয় না। ওর কিছু কিছু প্রিয় গানও তালিকায় ছিল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।