কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে গুণী চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। বর্তমানে সেইখানে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসায় জন্য পাঁচজন চিকিৎসক নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা গেছে ২০০০ সাল থেকে তরুণ মজুমদার কিডনি রোগে ভুগছেন। ৯২ বছর বয়সী এই পরিচালকের ফুসফুসের সমস্যাও রয়েছে। ডায়াবেটিসও রয়েছে তার। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯২ বছর বয়সী এ চলচ্চিত্র পরিচালককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু এবং মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্যের একটি দল সারাক্ষণ পরিচালককে নজরে রেখেছেন। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। তার বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। রসায়নের ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল তরুণ মজুমদারের।
শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। এই তিন পরিচালকের প্রথম সিনেমা ‘চাওয়া পাওয়া’। এতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার, সূচিত্রা সেন। এরপর ‘যাত্রিক’ নির্মাণ করে ‘কাঁচের স্বর্গ’। যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
১৯৬৫ সালে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে আসেন তরুণ মজুমদার। একই বছর ‘আলোর পিপাসা’ এবং ‘একটুকু ভালোবাসা’ নামে দু’টি সিনেমা তৈরি করেন। তারপর থেকে একের পর এক সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই পরিচালক।
এ তালিকায় রয়েছে—‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘চাঁদের বাড়ি’ প্রভৃতি। ভারতীয় বাংলা সিনেমার এই নির্মাতা বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।