ঐতিহাসিক মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে পা রাখলেন চার পর্যটক। গত শনিবার সন্ধ্যায় আটলান্টিক মহাসাগরের ফ্লোরিডা উপকূলে অবতরণ করেন তারা। এই ভ্রমণকে ঐতিহাসিক বলার কারণ হলো, সাধারণ পর্যটক হিসাবে মহাকাশ ভ্রমণের ঘটনা এই প্রথম। তা ছাড়া মহাকাশে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ফ্লাইট।
তিন দিনের এই মহাকাশ ভ্রমণে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শিফটফোর পেমেন্টস ইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রক্টর, হ্যালি আর্সেনক্স ও ক্রিস সেমব্রক্সি। আটলান্টিকের বুকে নামার পর উচ্ছ্বসিত আইজ্যাকম্যান এক বার্তায় বলেন, ‘এটি ছিল অসাধারণ এক যাত্রা।’ ভ্রমণটি সম্পন্ন হয় মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ড্রাগনের ফ্যালকন নাইন রকেটের মাধ্যমে। স্পেসএক্স এই প্রথম পেশাদার নভোচারী নন, এমন সাধারণ মানুষকে মহাকাশে পাঠাল। এই চার পর্যটক ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫০০ মাইল বেগে পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেছেন। এর মধ্যে গত শুক্রবার পৃথিবীর কক্ষপথ থেকেই তারা জনপ্রিয় হলিউড তারকা টম ক্রুজের সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে কথা বলেন। সে সময় উচ্ছ্বসিত চার পর্যটক নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মহাকাশ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আশা প্রকাশ করেন টম ক্রুজ। ঐতিহাসিক এই মহাকাশ ভ্রমণে পর্যটকদের কী পরিমাণ খরচ হয়েছে, তা জানানো হয়নি স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে। তবে টাইম ম্যাগাজিন বলছে, চারটি আসনের টিকিটের মূল্য ২০ কোটি মার্কিন ডলার। এতে চার পর্যটকের সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র যুক্ত করা হয়। খরচের পুরোটাই দিয়েছেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই, চাঁদের বুকে প্রথমবারের মতো পা রেখেছিল মানুষ। সেই দিনটিকে সম্মান জানাতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস মহাকাশ অভিযানে যান। তার আগে মহাকাশ ভ্রমণে যান ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন। তিনিই বিশ্বে প্রথমবারের মতো নিজস্ব ভার্জিন গ্যালাক্টিকের প্লেনে চড়ে মহাশূন্যে গিয়েছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।