কলকাতার চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষের ক্যামেরায় ভিন্নভাবে ধরা দিয়েছেন—অভিনেত্রী জয়া আহসান, রাইমা সেন, প্রিয়াঙ্কা সরকার। তার ক্যামেরায় বন্দি হওয়ার পর রাইমা-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে এ চিত্রগ্রাহকের প্রেমের গুঞ্জনও চাউর হয়েছিল। এবার নবাগত মডেল ঋত্বিকা গুহকে চোখ ধাঁধানো লুকে ফ্রেমবন্দি করলেন এই শিল্পী। বলা যায়, বাংলায় যেন বলিউডের গন্ধ!
বলিউড ও ফ্যাশন জগতে রীতিমতো জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার ডাব্বু রাতনানি। তার ক্যালেন্ডারে বলিউডের নামিদামি চিত্রনায়িকা খোলামেলা রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। বিশেষ করে কিয়ারা আদভানির ফটোশুটের স্মৃতি উসকে দিলেন তথাগত। ডাব্বুর সেই ছবিতে কলাপাতায় ঊর্ধ্বাঙ্গ ঢেকেছিলেন কিয়ারা। আর বাংলার ঋত্বিকা তারচেয়ে একটু বেশি সাহসী রূপে হাজির হয়েছেন। কারণ তার ঊর্ধ্বাঙ্গে সেটুকুও নেই।
ঋত্বিকার ছবিতে দেখা যায়, দস্তানায় ঢাকা ঋত্বিকার দু’টি হাত উন্মুক্ত বক্ষের কাছে। হাতে ধরা একটি কাকাতুয়া। তার দিকে দৃষ্টি অবনত। চোখে স্বপ্নের ঘোর। যেন এখনি পাখির মতো ডানা মেলতে চান তিনি।
তথাগতর ক্যামেরার সামনে নারীরা বরাবরই ভিন্নভাবে ধরা দেন। তাই বলে এতটা সাহসী? এ বিষয়ে চিত্রগ্রাহক তথাগত বলেন, ‘ঋত্বিকার সঙ্গে কাজের খাতিরেই এই ফটোশুটের আয়োজন করেছিলাম। বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটের আগে কয়েকটি অন্য ধারার ছবি তুলেছি তার অনুমতি নিয়েই।’ এ কারণে কতটা নিন্দা কুড়াচ্ছেন তথাগত? জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো প্রশংসাসূচক মন্তব্যই শুনছি।’
ঋত্বিকা পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির মেয়ে। ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। অভিনয় বিষয়ে বিশ্বরূপ বিশ্বাসের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পাশাপাশি মডেলিং করছেন। অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার আগেই এতটা সাহসী? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঋত্বিকা। তার ভাষায়—‘ক্যামেরার সঙ্গে বন্ধুত্ব করব বলেই নিজেকে এভাবে মেলে দিয়েছি। সব ধরনের ছবিতে যাতে স্বচ্ছন্দ থাকতে পারি, এজন্য এই শুট। এই ধরনের সাহসী ছবির পাশাপাশি শাড়ি, গহনায় সেজে ওঠা সনাতনী ছবিও আছে। সেখানেও আমি অনায়াস।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।