মাথায় টিকলি, মুখে মেকআপ, নাকে নথ, গলায় গহনা। পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা— এমন রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন এক যুবতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ানো ছবির এই যুবতী কে? সেই প্রশ্নই অনেকের।
ভালো করে খেয়াল করলেই বোঝা যায়, এ নারী অন্য কেউ নন; আশির দশকের দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনা। ৬৬ বছর বয়েস বধূ সেজে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এসব কোনো নাটক বা সিনেমার জন্য নয়। একটি ফটোশুটের জন্য এমন রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি।
রোজিনা নিজেকে নিজে দেখেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তার ভাষায়—‘আজকে নতুন রূপে যে রোজিনাকে দেখছেন, তার পুরো পরিকল্পনা তানজিল জনির। আমার মেকআপ, হেয়ার স্টাইল করেছে নিলয়। এই লুকে নিজেকে দেখে খুব ভালো লাগছে। কতটা ভালো লাগছে তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মনে হচ্ছে, আমি সেই আশির দশকে চলে গিয়েছি।’
রোজিনা চলচ্চিত্রে আসার আগে মঞ্চ নাটক করতেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন। ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় একক নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আশি দশকে প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
শুধু দেশে নয়, খ্যাতনামা এই অভিনেত্রী পশ্চিমবাংলার তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিমসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত বহু অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।
১৯৮০ সালে ‘কসাই’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন রোজিনা। ১৯৮৮ সালে ‘জীবনধারা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন।
‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’সহ তার অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।