সিলেটের প্রশংসিত নাটকের দল মণিপুরী থিয়েটারের রজতজয়ন্তী ছিল ২৬ সেপ্টেম্বর। ‘মেঘ-বৃষ্টি-রোদ’ নাটকটির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করা দলটি ২৫ বছরে নাট্যপ্রযোজনা ছাড়াও পালা, গান, নৃত্য, সাহিত্য, গবেষণা, পাঠচর্চাসহ নানান ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি বছর মণিপুরীদের উৎসবের মঞ্চ পরিবেশনা, নাট্যোৎসব, কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন,
নিয়মিত থিয়েটার ও সাহিত্যপত্রিকা প্রকাশ ইত্যাদি কার্যক্রম ছাড়াও মণিপুরী থিয়েটারের রয়েছে বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার ৩২টি প্রযোজনা। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অসংখ্য উৎসবে দেশে এবং দেশের বাইরে নাট্যমঞ্চায়ন করেছে দলটি।
দলটির সভাপতি হিসেবে শুভাশিস সিনহা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জ্যোতি সিনহা দায়িত্ব পালন করছেন। মণিপুরী থিয়েটার ২০০৮ সালে অর্জন করেছে সুবচন প্রবর্তিত আরজু স্মৃতি পদক, ২০১১ সালে চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খান স্মৃতিপদক এবং ২০১৩ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিট প্রবর্তিত এসএম সোলায়মান প্রণোদনা। এছাড়াও বংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মাননা অর্জন করেছে দলটি।
কহে বীরাঙ্গনা, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, ধ্বজো মেস্তরীর মরণ, দেবতার গ্রাস, লেইমা, ভানুবিল, ইঙাল আধার পালা, হ্যাপি ডেজ, ও মন পাহিয়া দলটির উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা। শিশুদের নিয়েও নিয়মিত নাটক মঞ্চায়ন করে মণিপুরী থিয়েটার।
মণিপুরী থিয়েটার ২০১০ সালে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে নির্মাণ করে প্রথম গ্রামীণ থিয়েটার স্টুডিও নটমণ্ডপ। এখানে দর্শনীর বিনিময়ে নাটক মঞ্চায়িত হয়। রজতজয়ন্তীর দিনে মণিপুরী থিয়েটারের নটমণ্ডপ থেকে একটি অনুষ্ঠান মণিপুরী থিয়েটারের পেজে সরাসরি প্রচার করা হয়। এদিন উদ্বোধন করা হয় মণিপুরী থিয়েটারের ওয়েবসাইটও।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।