শুধু নিজের প্যানেলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসায় হাজির হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সেখানে ছিলেন না শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তার প্যানেলের অন্য জয়ী প্রার্থীরা।
গত ৩০ জানুয়ারি রাতে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে শিল্পী সমিতির চলমান বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালেন জায়েদ খান।
সিনেপাড়ায় প্রশ্ন ওঠে— সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনকে কি মেনে নিতে পারেননি জায়েদ খান? জায়েদ ও কাঞ্চনের মধ্যে বিভেদ কি সত্যি প্রকট!
একই আশঙ্কা ব্যক্ত করে ইলিয়াস কাঞ্চনও জানান, তাকে না নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় জায়েদ খানের যাওয়ার বিষয়টি তার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছিল।
বুধবার অভিনেতা ও উপস্থাপন শাহরিয়ার নাজিম জয়ের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি।
জায়েদ খান ভুল করেছেন, মন্তব্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আসলে এখানে ভুলটা হয়েছে বলেই এই কনফিউশন তৈরি হয়েছে। বিষয়টা প্রথমে আমার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছিল। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো মনে করতে পারেন, আমি ইচ্ছা করেই যাইনি। একটা বিভক্তির দেখা, তবে বিষয়টি তাদের ভুল। ওই সময় এটা করেছে।
এ সময় নিজের ভুল স্বীকার করে জায়েদ খান বলেন, আমরা আসলে ওই সময় ওখানে ছিলাম। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলাম। মন্ত্রীকে আমরা বলেছি, আমরা এখন শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আসিনি, এখানে ছিলাম, তাই আপনাকে সালাম করে গেলাম। আমরা শপথগ্রহণের পর কাঞ্চন ভাইকে নিয়ে পুরো কমিটি আসব। একই কথা তথ্যমন্ত্রীকেও বলেছি আমরা।
এ চিত্রনায়ক আরও বলেন, কাঞ্চন ভাই মহাসড়কের যোদ্ধা। চলচ্চিত্রের সিনিয়রদের অন্যতম। তিনি এখন শিল্পী সমিতির অভিভাবক। আর ২১ জনের সরাসরি অভিভাবক। তার অভিজ্ঞতার আলোকে তার নির্দেশে আমরা চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। এখন আর দুই প্যানেল, প্রতিদ্বন্দ্বী এসব কিছু নেই। এখন শিল্পীরা সবাই একটা পরিবার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।