গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে। তাঁর ছেলে আহমেদ শাফি চৌধুরী বলেছেন, ‘বাবার মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওর, জানি না ঠিক কী হবে!’
গত তিনদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা চলছিল কাওসার চৌধুরীর। এরপর ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে এনে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
আজ তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, তিনি করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন। রক্তের প্রয়োজন ছিল আজ। সন্ধ্যায় আহমেদ শাফি চৌধুরী বলেন, ‘বাবার রক্তের প্রয়োজন ছিল। সেটা যোগাড় হয়েছে, প্রসেসও হয়েছে। এখন রক্ত দেওয়া শুরু হবে। এই মুহূর্তে বাবার জন্য দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর করার কিছু নেই। ’
কাওসার আহমেদ চৌধুরী মূলত একজন গীতিকার। তবে জ্যোতিষী হিসেবেও তিনি পরিচিত। বাংলাদেশের কয়েকটি ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পীর জন্য গান রচনা করেছেন। ব্যান্ড এলআরবি, শিল্পী সামিনা চৌধুরী, লাকী আখান্দ এবং নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কণ্ঠে তাঁর লেখা বেশ কিছু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।
তাঁর লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, এই রুপালি গিটার ফেলে, আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না, যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে, আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল, মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি ইত্যাদি।
১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।