‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেব’- এই নামে বই লিখেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

বইয়ের প্রচ্ছদে তিনি লিখেছেন, বিখ্যাত হতে আসিনি, শুধু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি।

ছবি সংগৃহীত: নায়ক থেকে লেখক

হিরো আলমের জীবনী নিয়ে লেখা বইটি সম্পাদনা করেছেন সৌরভ আলম সাবিদ। এটি বাজারে এনেছে তরফদার প্রকাশনী।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৯৬ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি। আগামী সোমবার থেকে হিরো আলম নিজেই স্টলে বসে অটোগ্রাফ দেবেন ভক্তদের বলে জানান তিনি।

হিরো আলম বলেন, আমার বইটি কেউ কিনবে কি কিনবে না সেটি বড় কথা নয়। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব- বইটি একবার হলেও পড়া উচিত, না কিনলেও অন্তত খুলে পড়ে দেখবেন।

আমাকে নিয়ে সবাই অনেক হাসিঠাট্টা করেন, ট্রল করেন; কিন্তু পর্দার ওপারে হিরো আলমকে কয়জন চেনেন? এই বইয়ের মাধ্যমে জানতে পারবেন আমার জীবনযুদ্ধ সম্পর্কে।

তিনি বলেন, আমি হিরো আলম হয়তো মারা যাব; কিন্তু আমার লেখা বইটি থেকে যাবে এবং একদিন না একদিন আমার এই লেখা আপনাদের কাঁদাবে- কথা দিলাম।

বইটির প্রকাশক ও সম্পাদনাকারী সৌরভ আলম সাবিদ বলেন, হিরো আলমের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। এটি পুরোপুরি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ নয়, বইয়ের অনেকাংশই উদ্দীপনামূলক।

বইমেলার পাশাপাশি বইটি অনলাইন বিপণন প্রতিষ্ঠান রকমারি ডটকমেও পাওয়া যাবে।

হিরো আলমের বই থেকে যে লাইনগুলো ভাইরাল:

একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জীবনী ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো’। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বই থেকে ১০টি লাইন ভাইরাল হয়েছে।

সেই ১০ চুম্বক লাইন হলো-

“১. আপনারা শিক্ষিত কাগজে-কলমে, মনুষ্যত্বের শিক্ষা শিক্ষিত লোকের মাঝে তেমন একটা নাই।

২. আমি অশিক্ষিত হয়ে লাত্থি উস্টা খেয়েও বেঁচে আছি, আপনারা শিক্ষিতরা কেন আত্মহত্যা করেন?

৩. আমার চেহারাটা নিয়ে আর কী বলবেন? আল্লাহই তো আমারে বানাইছে। আমি তো বানাই নাই। আমি কী করবো? এই চেহারা চেঞ্জ তো করতে পারবো না৷

৪. জীবনের সব ব্যবসা আমি টাকা দিয়ে করেছি, শুধু নির্বাচন ছাড়া।

৫. শিক্ষিতরা যে আমারে নিয়ে মজা করেন, আমার জায়গায় থাকলে তো রিকশা চালায়ে খাইতেন। আমি তো তাও চেহারা খারাপ বলে মিডিয়ায় আইছি, আপনার তো চেহারা মোটামুটি। আপনি তো তাও পারতেন না।

৬. আমি আমার ভক্তগো একবার ধন্যবাদ দিলে সমালোচকগো দুইবার ধন্যবাদ দেই। তারা আমার ভিডিও খিয়াল করে দেখে। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও দেখে, উইঠেও দেখে।

৭. সারটিফিকেটধারী শিক্ষিত লোক হইলো ভীতু। নিজেরা তো কিছু করবেই না, কেউ করতে দেখলেও গা জ্বলে। এরা যে কি চায় নিজেরাই জানে না।

৮. আমি পরিত্যক্ত সন্তান হয়ে চানাচুর বেচে, সিডি, ডিশ লাইন, মিউজিক ভিডিও করে ১০-১৫টা মানুষের দায়িত্ব নিতে পারি, আপনি শিক্ষিত হয়ে কিছু পারেন না কেন?

৯. আমি হিরো আলম আমার ভিডিও দেখে খালি মানুষ হাসবে এই জন্যে কাজ করি। আমার মাইনসের হাসিমুখ দেখতেই ভালো লাগে। এই সব ভাইরাল, সমালোচনা এসবের জন্যে কাজ করি না।

১০. আমি সকল বিধবা মা, পরিত্যক্ত নারী ও শিশুদের জন্যে একটা সংস্থা করে যেতে চাই। যাতে, আমার মায়ের মতো কারো মার যেন মাইর খেয়ে রাস্তায় বাচ্চা নিয়ে রাত কাটানো না লাগে।”

‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো’ সম্পাদনা করেছেন সৌরভ আলম সাবিদ। প্রকাশ করেছে তরফদার প্রকাশনী। বইমেলার সোহরাওয়ার্দী অংশে ১৯৬ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।