সনাতন ধর্ম মতে, স্বর্গের দেবতাদের সৃষ্ট দশ হাত বিশিষ্ট নারী। প্রতিটি হস্ত রণক্ষেত্রে শত্রু নিধনের অস্ত্রে সজ্জিত। অস্ত্রের কৌশলে অসুরকুলকে পরাহত করে মানবজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলে প্রচলিত।
জগত-সংসার রক্ষায়, ন্যায় আর সুন্দরের প্রতিষ্ঠায়, কোমল আর কঠিনের সংমিশ্রণে দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল বহুকাল আগে। সেটা হিন্দু ধর্ম অনুসারীরা ধারন ও লালন করেন। তবে প্রবাস মানেই কর্ম ব্যস্ততা। এবারও দুর্গা আসবে, কিন্তু দিনটি নিরানন্দে কাটবে বহু প্রবাসীর।
শুভ কুমার নামে এক বাংলাদেশি বলেন, দ্বীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় অবস্থা করছি। পুজোর সময় মন মানে না, ইচ্ছে করে ছুটে যায় সোনার বাংলায়।
এক প্রশ্নত্তরে বলেন, পরিবারকে অনেক মিস করি। শৈশবের স্মৃতি ঘেরা মন্দিরের কথা মনে পরে বার বার। বিশেষ করে মিস করছি আমার দিদি’র মতো বেস্ট ফ্রেন্ড প্রিয়াংকা (পিও) কে।
আমার সংবাদকে ধন্যবাদ জানিয়ে নেপালী নাগরিক সুদ্বীপ ও বিক্রম বলেন, বহু বছর দেশের বাহিরে আছি। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে মিস করছি। মন ভালো নেই, তবুও মেনে নিতে হবে।
অন্তপর মালয়েশিয়ার একটি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত অজিত’র সাথে তার কর্মস্থলে কথা। তিনি বলেন, পরিবার থেকে দূরে আছি কষ্ট হচ্ছে। তবুও প্রবাস জীবনে কিছু করার নেই,মেনে নিয়েছি। সকলে ভাল থাকুক।
ভারতীয় এক বাঙালি বলেন, নতুন জামাকাপড়, হরেক রকমের খাওয়া-দাওয়া, আত্মীয়-বন্ধুর সঙ্গে মিলন, গল্প-গুজব, গান-বাজনা, পুজামণ্ডপে আরতি, নারকোলের নাড়ুর প্রসাদ, সব কিছু মিলিয়ে হই-হই রই রই। আনন্দের এই মূহুর্ত গুলো বাড়ি ছাড়ে যে দিন প্রবাসে এসেছি সে দিন থেকেই মাটি হয়ে গেছে। ভাল থাকুক স্বদেশ।
এদিকে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস্ ক্লাব অব মালয়েশিয়া।
সূত্র- আমারসংবাদ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।