বাসা বাড়িতে থাকা এক ফোটা পানিতেও এডিস মশা শতাধিক ডিম পাড়তে পারে। সেই পানি তিন দিনের বেশি থাকলেই সেখান থেকে লার্ভা হয়ে পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। প্রত্যেকে নিজের বাসা এবং বাসার আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে পারলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।
শুক্রবার বিকালে খিলগাঁওয়ের ৬৯৮/সি/ঘ এর হোপ মিলনায়তনে ঢাকা খয়েরপুর কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী কীটতত্ত্ববিদ মো. শরীফুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন মো. জুন্নুন রেজা চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন মো. শাখাওয়াত হোসেন পিপুল প্রমুখ।
মো, শারফুজ্জাম বলেন, বাসা বাড়ির ভেতর এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে দিনের পর দিন ব্যবহার করা ছাড়াই পড়ে থাকে। তাতে এডিস মশা ডিম পাড়তে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির ফ্রিজার ও বারান্দার টবে মশা নিধনের কীটনাশক ছিটানো উচিত।
দিন ও রাতে ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মশার আনাগোনা থাকলে মেরে ফেলতে হবে। এরপরও কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অবশ্যই প্রথম থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে যেতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।