একজন পুরুষের বীর্য উৎপাদনের সাথে জড়িত অঙ্গসমূহ তথা বীর্যের উৎস হল: টেস্টিকল বা টেস্টিস, ইউরেথ্রা, ভাস ডিফেরেন্স, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড, সেমিনাল ভেসিকল এবং লিঙ্গ।
টেস্টিকল (অণ্ডকোষ) সেমিনোফেরাস টিউবলস নামক একধরণের পেচানো অঙ্গানু থাকে, এটিই বীর্য উৎপাদনের মূল এলাকা। এখানে মাসে ১০ কোটি শুক্রাণু তৈরি হয়। এই শুক্রাণু তৈরি হয় ফ্রক্টোজ (একজাতীয় চিনি), দস্তা, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২, সামান্য শর্করা এবং অন্যান্য জটিল রাসায়নিক পদার্থ থেকে।
দেখতেই পাচ্ছেন এসব উপাদানের কোথাও রক্তের উপাদান যেমন: হিমোগ্লোবিন, লোহিত কণিকা, শ্বেতকণিকা, অণুচক্রিকা এসবের নাম নেই, তাছাড়া রক্তকোষ এ ৪৬ টি ক্রোমোজোম থাকে আর বীর্যে ২৩ টি। সুতরাং রক্ত থেকে বীর্য তৈরি হয় এটা সম্পুর্ন ভ্রান্ত ধারনা।
আপনিই চিন্তা করেন। ৬০/৮০ ফোটা রক্ত যদি বীর্য উৎপাদনে লাগতো তাহলে বছরে ট্রিলিয়ন সংখ্যক বীর্য তৈরি হতে গেলে আমরা নির্ঘাত রক্তশূন্যতায় মারা পড়তাম।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।