মোস্তাকিম ফারুকীঃ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের আউটডোরের কম্পিউটার নষ্ট। রোগীদের ভোগান্তি অন্তহীন। ঢাকা এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষেরও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে আসছিল দেশের সবচেয়ে পুরনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল।
অথচ এই হাসপাতালে এসে বর্তমানে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা, আউটডোরে দেখা দিয়েছে ভোগান্তির চরমমাত্রা। সরেজমিন পরিদর্শন করে হাসপাতালের আউটডোরে রোগী ভোগান্তির অবর্ণনীয় চিত্র পাওয়া গেছে। জানা যায় ২০শে জুন, গত রবিবার থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের আউটডোরের কম্পিউটার নষ্ট।
বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা করানোর জন্য পাচ্ছে না কাঙ্খিত টিকিট। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সুস্থ মানুষও হয়ে যাচ্ছে অসুস্থ। সকাল সাড়ে ৮টায় আউটডোর চালু হয়।
তার আগেই সকাল থেকে টিকিট সংগ্রহের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন রোগীরা। প্রয়োজনীয় পরিক্ষা নিরীক্ষা করানোর জন্য রাত ৮টা অবধি লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে টিকিট হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা।
শরিয়তপুর থেকে আগত, ভর্তিকৃত রোগী শরিফ জানান, ৬ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ৬ কদম সামনে এগোতে পারি নাই। কাউন্টার এখানে আছে ৫ টা, অথছ টিকিট দিচ্ছে একটা থেকে।
টিকিট কাউন্টারে অবস্থানরত রণির সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাতে লিখে টিকিট দিতে হচ্ছে, তাই বিলম্ব হচ্ছে। কাউন্টার ৫টা, আপনি একা কাজ করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বাকিরা বেলা ১২ টা পর্যন্ত ছিল। আর সার্ভারের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার হাসান জানেন।
ইঞ্জিনিয়ার হাসানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না, কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করুন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মোঃ রশিদ-উন-নবীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান ২টার হার্ড ডিস্ক নষ্ট হয়ে গেছে, ডেটাগুলো আমরা রিকভার করে রাখছি। ক্রিস্টাল কর্পোরেশনে ২জন ইইঞ্জিনিয়ার মেরামতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা আশ্বস্থ করেছে আগামীকাল ১০টার মধ্যে ঠিক করে দিবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।