কলমকথা’ অনলাইন ডেস্ক:

বিয়ের পরে হুট করে বাচ্চা না নিয়ে পরিকল্পনা করে নেওয়া ভালো। ঠিক কত দিন ব্যবধান থাকা দরকার? আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানব।

গর্ভাবস্থার ৪ সপ্তাহে পেটের আকার

নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ এর একটি পর্বে নারীর বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ল্যাবএইড হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. বেগম হোসনে আরা।

বিয়ের কত দিন পর্যন্ত একটা স্বাভাবিক গ্যাপ থাকা উচিত। অনেকে যেটা করে, তিন-চার বছরের একটা লম্বা গ্যাপ রাখে। এ ক্ষেত্রে যে ফার্টিলিটির সমস্যা হয়ে থাকে, তাতে আপনার পরামর্শ কী। সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. বেগম হোসনে আরা বলেন, নরমালি আমাদের কাছে যেসব কাপল আসে, বিয়ে হওয়ার পরপরই তারা আসে একটা প্রিকনসেপশনাল কাউন্সেলিংয়ের জন্য। তখন আমরা তার হিস্ট্রি নিই। তার মাসিকের হিস্ট্রি নিই। তার মাসিকের অবস্থা কেমন, পেইনফুল মাসিক হয় কি না অথবা তার ফ্যামিলিতে বন্ধ্যত্ব আছে কি না, মা বা বোনের এন্ডোমেট্রিওসিস আছে কি না—এ রকম যদি তার হিস্ট্রিতে থাকে, তাকে কিন্তু আমরা গ্যাপ দিতে বলি না। অথবা আমি তাকে একটা আলট্রাসনোগ্রাম করালাম। তাতে দেখা গেল এন্ডোমেট্রিওটিক স্পট আছে। এটা খুব মাইনর ধরনের। তখন তাকে আমি গ্যাপ নিতে বলব না। তবে বিয়ে হওয়ার পরে যে বাচ্চা নেবে, এটা প্রত্যেক পেশেন্টের আলাদা আলাদা।

ডা. বেগম হোসনে আরা আরও বলেন, কারও হিস্ট্রিতে এন্ডোমেট্রিওসিস থাকতে পারে, কারও জরায়ুতে টিউমার থাকতে পারে, অপারেশন থাকতে পারে। ওর জন্য আলাদা। আবার আরেক জনের কিছুই নেই। সে নরমাল। সে ওয়েট করতে পারে। অথবা বয়স কম, বয়স ২০-২২, তাকে আমি ওয়েট করাতে পারি। অথবা তার কোনও ডিজিজ নেই। কিন্তু যার হিস্ট্রি আছে, তার কিন্তু ২০ হোক, ২২ হোক, ২৫ হোক, তাকে আমরা ওয়েট করতে বলব না। তাকে অবশ্যই সচেতন হয়ে তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিতে হবে।