রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে
অধিদফতরের মুখপাত্র ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে বর্তমানে যে সিজনাল ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে মিল রয়েছে ওমিক্রনের। কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করে ফেলছে।
ডা. নাজমুল আরও বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি হয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে (১৬ জানুয়ারি) যেটি ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল আরও বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮-এর বেশি। আজ পর্যন্ত যে গড় আছে, তা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ
ওমিক্রনের লক্ষণ ৬টি— জানাল স্বাস্থ্য অধিদফতর, দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একইসঙ্গে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তদের সাধারণত ছয়টি লক্ষণ দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে মিল আছে সিজনাল ফ্লুয়ের। এ সময় তিনি যে সব উপসর্গ/লক্ষণের কথা বলেন সেগুলো হলো—
১- ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে;
২- ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে;
৩- ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন;
৪- ৬০ শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন;
৫- ৬০ শতাংশ রোগীর গলা ব্যথা হচ্ছে; এবং
৬- ৪৪ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করে ফেলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।