করোনা যেনো কোনোভাবেই মানুষের পিছু ছাড়ছে না, যেইনা চিকিৎসকগণ, সাস্থ্য কর্মীগণ করোনা প্রতিরোধ এর দ্বারপ্রান্তে চলে আসে তখনই নতুন কোন ভ্যারিয়েন্ট আঘাত হেনে বসে। চিকিৎসকগণ সহ-স্বাস্থ্য কর্মীগণ এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সবাই এই নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।

তবুও সবাই খুব সাহসিকতার সাথে করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সবার ভিতরেই প্রশ্ন অধিকাংশ মানুষই ভ্যাকসিন নিয়েছে তাহলে কি এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট শরীরে আগের মত ক্ষতি করতে পারবে??

অবশ্যই পারবে, গবেষণায় এসেছে নতুন ভেরিয়েন্ট এর স্পাইক প্রোটিন নিজেকে খুব দ্রুত পরিবর্তন করতে পারে, এইজন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এটি ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা ডিঙিয়ে রোগীকে ক্ষতি করতে পারে।

অনেক বিশেষজ্ঞ আবার বলছে এটি ডেল্টা ভেরিয়েন্ট থেকে দূর্বল হবে। অমিক্রণ এ আক্রান্ত হলে রোগী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে, সবসময়ই তার বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করবে,কান্তিবোধ চরম আকার ধারণ করবে ,খসখসে গলায় কথা বলবে।

এছাড়াও জ্বর আসতে পারে ,শরীরে তীব্র ব্যথা হতে পারে এবং ঠান্ডা শুকনো কাশি লেগে থাকতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র সিম্প্তমাতিক ট্রিটমেন্ট বা চিকিৎসা দিয়েই অমিক্রণ ম্যানেজমেন্ট করা হচ্ছে কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যে হারে অমিক্রণ শনাক্ত হচ্ছে তাতে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

কাজেই যারা ভ্যাকসিন নিয়েই মনে করছেন করোনা আর হবেনা সেটি সম্পূর্ণ ভুল,এমন অনেক রোগী আছেন যারা পূর্বে করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন এবং বর্তমানেও হচ্ছেন।

কোভিড থেকে বাঁচার উপায় এর আগেও বলেছি এখনো বলছি, সেটি হচ্ছে মাস্ক পড়া, আপনি ভ্যাকসিন নিন আর নাইবা নিন আপনাকে সব সময় মাস্ক পড়তে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সামনের পর্বে অমিক্রণ এর চিকিৎসা নিয়ে সর্বোপরি আলোচনা করা হবে।


ডা: মো: আতাউদ জাহান রেজাউল

কার্ডিয়াক আই.সি.ইউ মেডিকেল অফিসার

গ্রীন লাইফ হার্ট সেন্টার,গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল,ঢাকা

এমবিবিএস (ডি ইউ )
পিজিটি (মেডিসিন,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)
সিসিডি (বারডেম)
ডি.ও.সি(স্কিন & ভিডি)