দুরারোগ্য মেঙ্কস সিনড্রোমে আক্রান্ত ছোট্ট হাওইয়াং। শিশুর প্রাণশক্তি ধরে রাখতে পারে যে ওষুধটি, পুরো দেশেই তা নেই। তাই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হাতে খুব বেশি হলে আর কয়েক মাস।
এমন অবস্থায় ছেলের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরি করতে মরিয়া হাওইয়াংয়ের বাবা জু ওয়েই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেছেন গবেষণাগার। নিজেই ওষুধ তৈরি করে খাওয়াচ্ছেন ছেলেকে। ঘটনাটি চীনের কুনমিং শহরের।
হাইস্কুল পড়া জু ওয়েই বলেন, অনলাইনে মেঙ্কস সিন্ড্রোম নিয়ে যা তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল সবই ইংরেজিতে। অনুবাদ সফ্টওয়্যারের সাহায্যে তা পড়তে থাকেন জু। যখন বোঝেন ‘কপার হিস্টিডাইন’ ছেলের অবস্থা পরিবর্তনে সাহায্য করতে পারে, তখন দেরি না করে তার বাবার জিমেই ওষুধটি তৈরির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত করে ফেলেন।
তার দাবি, এই চিকিৎসা শুরুর দুই সপ্তাহ পর থেকে ছোট্ট হাওইয়াংয়ের দু’টি রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট আবার স্বাভাবিক হয়েছে। এখনো কথা না বললেও তিনি গায়ে হাত বোলালে নাকি হাসি ফুটে উঠছে হাওইয়াংয়ের ঠোঁটে।
টানা ছয় সপ্তাহ গবেষণায় ডুবে থাকার পর ওষুধের প্রথম ভায়ালটি তৈরি করেন জু। প্রথমে খরগোশ এবং তার পরে নিজের শরীরেও ওষুধটি প্রয়োগ করেন।
তবে এই ওষুধ যে রোগটির উপশম নয়, তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জু নিজেও অবশ্য তা স্বীকার করছেন। তা সত্ত্বেও লড়াইয়ের মাঠ ছাড়তে নারাজ জু।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।