নাসিম আক্তার,বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে বেনাপোল বন্দরে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার ১০১ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
ভারতীয় ট্রাক চালকরা যেন বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টা টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।
সেই সাথে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা,সহকারী ভূমি কমিশনার, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি, শার্শা থানার ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলকে সর্তকবার্তা, মাস্ক বিতরণসহ টহল চালিয়ে যাচ্ছে ।
 
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, বিজিবি সদস্যরা স্থলবন্দরসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চলাচলকারী লোকজনদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সচেতন করছে। আর অবৈধভাবে কেউ যেন সীমান্ত পারাপার করতে না পারে সেজন্য পুরো সীমান্ত জুড়ে বাড়তি বিজিবি মোতাযেন করা হযেছে, টহল জোরদার করা হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শার্শা উপজেলার সব সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি নজরদারি জোরদার করা হযেছে। সাদিপুর, , গাতিপাড়া,রঘুনাথপুর দৌলতপুর,বড়আচড়া , ঘিবা ও শিকারপুর কাশিপুর ও বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় অবৈধ যাতায়াত প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
 
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, গতকাল পর্যন্ত ভারত থেকে ৭০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য তাদের পুলিশের সহযোগিতায় বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে।
বেনাপোল হোটেলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।