করোনাভাইরাসে দেশে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, গত সোমবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়।
এ সময় শনাক্ত হয় ৬৫৬ জন। শনাক্তের হার ১৩.৭৮ শতাংশ। এদিকে করোনার ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরনের দাপটের সঙ্গে সাধারণ সর্দি, জ্বর ও কাশি বা ‘সিজনাল ফ্লু’ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপসর্গ একই রকম হওয়ায় সাধারণ সর্দি-জ্বরকেও অনেকে করোনা মনে করে শঙ্কিত হয়ে পড়ছে। আবার করোনায় আক্রান্ত হয়েও অনেকে সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে উদাসীন থাকছে। হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে চাচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক এলাকায়ই এ ধরনের পরিস্থিতি। বাগেরহাটের শরণখোলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয়া ৭০ জনের মধ্যে অর্ধেক রোগীই ছিল জ্বর, সর্দি ও কাশির। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি চলাকালীন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত আরো প্রায় অর্ধশত রোগী।
এ ছাড়া অনেকে সর্দি, জ্বর, কাশি ও হালকা গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এলেও করোনার পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। ঈদের আগে এক দিনে এ ধরনের ২৫২ জন রোগী এসেছিল। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৯ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।