আমিনুল ইসলাম,ঘাটাইল প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল এবং কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।
এ লকডাউন বাস্তবায়নে দুই পৌর এলাকায় পুলিশের ১৮টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন এই দুই পৌর এলাকার দোকানপাঠ ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মহাসড়ক হয়ে দু-একটি যানবাহন চলছে। সরেজমিনে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, জেলাসদর গেইট, কুমুদিনী কলেজ মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ভিক্টোরিয়া রোড, নিরালা মোড়, শান্তিকুঞ্জ মোড়, বেবীস্ট্যান্ড, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে মানুষকে পায়ে হেটেই গন্তব্যে পৌছাতে দেখা গেছে।
এ দিকে দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালামোড় এবং কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায়সহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় তারা লকডাউন মানতে সকলকের সহযোগিতা কামনা করেন। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের ১৩টি চেক পোস্ট ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় পাঁচটি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দুই শতাধিক পুলিশ মাঠে কাজ করছে। জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি সাংবাদিকদের বলেন, জরুরি সেবা ব্যতিত কোন কিছু চালু থাকবে না। লকডাউনের প্রথম দিন সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে। এ এক সপ্তাহ সঠিকভাবে কঠোর বিধিনিষেধ পালন করতে পারলে করোনার আক্রান্তের হার অনেক কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত রোববার জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ১০ দিন ধরে জেলায় আক্রান্তের হার শতকরা ৩২ ভাগের উপরে রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ছয় হাজার ৩৯৫জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০১জন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।