করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ায় ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, প্রবীণ ও ঝুঁকির তালিকায় থাকা বাসিন্দাদের তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে শিগগিরই। খবর সিএনএনের। এ নিয়ে জাতিসংঘ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, গরিব দেশগুলো এখনও একটি ডোজও দিতে পারেনি তাদের বাসিন্দাদের।
এ অবস্থায় ইসরাইল ও জার্মানির পর এবার যুক্তরাষ্ট্রও তৃতীয় ডোজের অনুমোদন দেওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। জাতিসংঘের আপত্তি উপেক্ষা করে আগেই ইজরাইল ও জার্মানিসহ কিছু ধনী দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এই তালিকায় এবার নাম ঢুকলো আমেরিকার। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ছাড়পত্রে লাখ লাখ আমেরিকান বুস্টার ডোজ পাবেন আগামী মাসে। তবে, ধনী দেশগুলোর বক্তব্য, তারা জাতিসংঘের কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে টিকা দান করছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একটি বৈঠকে বলেন, বিশ্বে ৫৭০ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর ৭৩ শতাংশ পেয়েছে বিশ্বের ধনী ১০টি দেশ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশ (বেশির ভাগই আফ্রিকার) জনসংখ্যার ৩ শতাংশকেও প্রথম ডোজটিও দিতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে- নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়ার মতো দেশ।
আফ্রিকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ নাইজিরিয়া, অন্তত ২০ কোটি মানুষের বাস। ইথিয়োপিয়ায় থাকেন সাড়ে ১১ কোটি মানুষ। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক পিছিয়ে হাইতিও। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে এ পর্যন্ত ১ দশমিক ১ শতাংশ বাসিন্দাকে টিকার একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। দিনে গড়ে ২৪৪ জন টিকা পাচ্ছেন। বুস্টার ডোজ চালু করার জন্য এই বছরের শেষ পর্যন্ত ধনী দেশগুলোকে অপেক্ষা করতে আবেদন জানিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান আধানম গেব্রিয়াসিস।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।