দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে। টানা চার বছর বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ার পর গত বছর তা কমে এসেছে। বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এর আগের বছর ২০২১ সালে এই হার ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ২০২০ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর ও গ্রাম উভয় এলাকাতেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা কম দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন।
প্রতিবেদনে বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালে গ্রামাঞ্চলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এর বছর এই হার ছিল ৬৫ দশিমক ৭ শতাংশ।
এদিকে শহরেও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা কমে এসেছে। গত বছর শহরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগের বছর শহরে এই হার ছিল ৬৫ শতাংশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।