গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আমরা সবাই কমবেশি ভুগে থাকি। মূলত তৈলাক্ত, ভাজাপোড়া বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফুলে থাকা, বদহজমসহ পেটে ব্যথার মতো নানা সমস্যায় ভুগতে হয়।
অনেকেই আবার এই লক্ষণগুলোকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ভেবে থাকেন। গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পাকস্থলীর আলসারের সবচেয়ে কমন লক্ষণ হলো- পেটের মাঝ বরাবর জ্বালাপোড়া করা কিংবা সার্বক্ষণিক এক ধরণের ভোঁতা ব্যথা হতে থাকা।
তবে আলসার হলেই সবার ক্ষেত্রে ব্যথা হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে আলসার থেকে সৃষ্ট কোনো জটিলতা। আলসার দ্বারা ক্ষত বোঝানো হয়। পেটের ভেতেরে ক্ষতের সৃষ্টি হয় বলে একে স্টোমাক আলসার বা পেপটিক আলসার বলা হয়। মূলত পাকস্থলী বা ডিওডিনামে হয় পেপটিক আলসার। গ্যাস্ট্রিক আলসারের আলসারের সর্বাধিক পরিচিত লক্ষণগুলো এখানে তুলে ধরা হলো-
বুক ও পেটের ওপরের অংশে ব্যথা করা। পাকস্থলীর আলসারের ক্ষেত্রে খাবার খেলে এই ব্যথা কমে যায়। তবে অন্ত্রের আলসারের ক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের পর এই ব্যথা বেড়ে যায়।
বুক জ্বালাপোড়া করা।
টক বা তিক্ত স্বাদের ঢেকুর ওঠা।
মাত্রাতিরিক্ত হেঁচকি আসা।
বুকের পেছনের অংশে বা মেরুদণ্ডে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
ক্ষুধামান্দ্য।
বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
প্রতিকারের উপায়
ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া।
ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ বর্জন করা।
ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
অ্যাসপিরিন ও ব্যথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলা। এই ওষুধগুলোর কারণে আলসারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
ভিটামিন এ, সি ও ই-যুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করা। এই ভিটামিনগুলো আলসারের ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও কোমলপানীয় এড়িয়ে চলা।
প্রয়োজন মতো বিশুদ্ধ পানি পান করা।
বিশেষজ্ঞের মতে, আলসার ইনফেকশন দেখা দিলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। দুই সপ্তাহের কোর্স হয়। এছাড়াও অ্যাসিডজনিত কারণে সমস্যা হলে প্যান্টোপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেতে হয়। এর পাশাপাশি জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যতালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর সব খাবার বাদ দিতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।