ঘুম আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অনেকে বেশি ঘুমতে ভালবাসেন, অনেকে অল্প সময়ের গভীর ঘুমেই সন্তুষ্ট। দিনে ৭-৮ ঘন্টার টানা ঘুম সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন। তবে সবার ক্ষেত্রে সহজ ঘুমটা হয় না। ঘুম ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। আর ঘুমের জন্য তাদের ওষুধের প্রয়োজন হয়।
ঘুমের ওষুধ মূলত মস্তিষ্কের চাপ হালকা করে আপনাকে ধীরে ধীরে ঘুমতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শে এই ধরণের ওষুধ নেয়া যেতে পারে। কিন্তু নিয়মমাফিক রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। কী কী সমস্যা তৈরি হতে পারে আসুন দেখে নেয়া যাক।
▫️প্রতিটি ঘুমের ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে তোলা। এই ওষুধের প্রভাব সরাসরি থ্যালামাসে প্রভাব ফেলে। স্নায়ু ও মস্তিষ্ককে নিস্তেজ করে ঘুমাতে সাহায্য করে। আর এই প্রক্রিয়া যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে একপর্যায়ে স্মৃতিতে মারাত্মক থাবা ফেলে।
▫️নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থেকে মানসিক অবসাদ হয়ে থাকে। এই ওষুধ মনে চাপ ফেলে। শরীরে কর্টিসল হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। প্রয়োজনের বেশি কর্টিসল ক্ষরিত হওয়ায় সমস্যা বেড়েই চলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে।
▫️ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে সহজেই নানা রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে।
▫️নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে ফুসফুসে প্রভাব পড়ে। ফুসফুসের ক্ষমতা হ্রাস পায়। অল্প পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে যান। আবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে কিংবা হঠাৎ একটু বেশি হাঁটাহঁটি করলে শ্বাস নেয়ার মতো সমস্যা হয়। এ কারণে অনেকেই দীর্ঘ স্থায়ী শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।