বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফিতে আক্রান্ত শিশুর জন্য জিন থেরাপি দিতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল। এ চিকিৎসায় প্রায় ২২ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ চিকিৎসা দেওয়া হবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফি বিরল ও জটিল স্নায়ুতন্ত্রের জন্মগত রোগ।
এটি সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা বসতে বা দাঁড়াতে পারে না। যদিও তাদের বুদ্ধিমত্তা ঠিক থাকে। কিন্তু, শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন এবং জটিলতার কারণে এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা মারা যায়।
এ রোগের চিকিৎসার বিষয়ে ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নোভাটিস এ রোগের জন্য অনাসেমনোগিনি এবিপ্রাভোভ্যাক নামক সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য জিন থেরাপি আবিষ্কার করেছে।
যা ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্পাইনাল মাসকুলার এট্রোফির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই চিকিৎসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের দেশে এমন অনেক শিশুরোগী থাকলেও বিনা চিকিৎসায় সেসব শিশু প্রতি বছর মারা যাচ্ছে।
এ অবস্থায় নোভাটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সহায়তায় একটি গ্লোবাল প্রজেক্টের আওতায় এ মূল্যবান ওষুধ আমাদের দেশের একটি শিশুকে প্রথমবারের মতো দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মতো এ চিকিৎসা দেয়া হবে আগামীকাল।
সঙ্গত কারণে ওই শিশুটির নাম বা তার বাবা মায়ের নাম, পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। কোনো শিশুর প্রথমবারের মতো এই চিকিৎসা আমাদের দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।