শীতকালে জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। এ সময় যারা আর্থরাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থরাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থরাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন তাদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথাও তীব্র হয়।
শীতে কেন জেয়েন্টে ব্যাথা বাড়ে?
শীতকালে নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের কোষ ফুলে যায়। ফলে জয়েন্ট বা জোড়া জমে যায় এবং ব্যথা শুরু হয়। এ সময় রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকোচন হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বেশ কমে যায় বলে ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়।
এ ছাড়া শীতে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বলে ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে ব্যথা হয়। হাত সামনে পেছনে নেওয়া এবং হাত দিয়ে কিছু তোলা কষ্টকর হয়। হাঁটু ও কোমর সোজা অবস্থা থেকে ভাঁজ করতে এবং বসতে বা উঠতে অসুবিধা হয়।
যেভাবে দূর করবেন জয়েন্টের ব্যাথা
◻️পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ খেতে হবে।
◻️ফল ও ফলের রস, সতেজ শাকসবজিসহ উপযুক্ত খাবার শীতকালে আর্থরাইটিস বা বাত-ব্যথার তীব্রতা কমাতে সহায়তা করে। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবজি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়।
◽সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং জয়েন্টে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ব্যথা কম অনুভূত হয়।
◻️আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে পান করলে আর্থরাইটিসের ব্যথা কমে যায়।
◻️কুসুম গরম পানির সেঁক এ ব্যথার জন্য কার্যকর। যথেষ্ট গরম কাপড় পরতে হবে।
◻️যেকোনো অবস্থায় বেশিক্ষণ বসা, দাঁড়ানো যাবে না।
◻️সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে।
◻️প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে।
◻️হালকা ব্যায়াম জয়েন্টের ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে। শীতে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জয়েন্টে রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জয়েন্টের
◻️স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা ব্যথামুক্ত রাখে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।