ফিনল্যান্ডের টুরকু বিশ্ববিদ্যালয় ও টুরকু বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও খাদ্যাভ্যাস শিশুর দুই বছর বয়স পর্যন্ত স্নায়ুবিকাশে প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ও মায়ের শরীরের অধিক চর্বি শিশুর স্নায়ুবিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। মা যদি নিয়মিত ভালো খাবার খায় এবং মাছ খাওয়ার পরিমাণ যদি বেশি থাকে, তাহলে তাদের শিশুদের বোধশক্তি এবং ভাষার দক্ষতা ভালো হয়।
গবেষকেরা বলছেন, অধিক ওজন ও স্থূল মায়েরা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে চললে তাদের শিশুরা সুফল পেতে পারে। ৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য সাময়িকী পেডিয়াট্রিক রিসার্চের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে।
সাময়িকীটি আমেরিকান পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক রিসার্চের প্রাতিষ্ঠানিক প্রকাশনা। ফিনল্যান্ডের ৪২ শতাংশ গর্ভবতী নারী স্থূল বা তাঁদের ওজন অত্যধিক।
যেসব নারীর ওজন বেশি বা যাঁরা স্থূল তাঁদের বিপাক সমস্যা দেখা দেয়। তাঁরা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন এবং স্বাভাবিক ওজনের নারীদের তুলনায় সন্তান জন্মদানকালে তাঁদের জটিলতা বেশি দেখা দেয়। এমন মায়েদের গর্ভের সন্তান বিরূপ পরিবেশে পড়ে এবং তার প্রভাব পড়ে স্নায়ুবিকাশে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।