রাজশাহী মহানগরীর (আমচত্ত্বর মোড়) নওদাপাড়ার অবস্থিত “সূর্যের হাসি ক্লিনিকে” (তিলোত্তমা) ভুলবশত ১৭ দিনের এক শিশু বাচ্চাকে ৪ টিকা প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৫ মার্চ) শাহমুখদুম থানার মোড় এলাকার ফারুক আল মামুনের দ্বিতীয় সন্তান হুমায়রাকে একসঙ্গে চারটি টিকা প্রদান করা হয়।হুমায়রার বয়স তখন ছিলো, মাত্র ১৭ দিন।

বয়সের ভুলে শিশুকে ভুলবসত চার টিকা দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আশিকুল হুদা।তিনি বলেন, হুমায়রায় পিতা-মাতা বয়স বলতে ভুল করায় নার্স (প্যারামেডিক) শ্যামলী রানী চারটি টিকা প্রদান করেন।

অপরদিকে হুমায়রার পিতা-মাতা বলছেন অন্য কথা।তাঁরা বলছেন, মেডিকেলের ছাড়পত্র দিয়ে তাদের টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়।কিন্তু নার্স (প্যারামেডিক) শ্যামলী রানী হিসেবে ভুল করে আমাদের বাচ্চাকে চারটি টিকা একসঙ্গে প্রদান করেন।আমার বাচ্চার ভুল চিকিৎসা নিয়ে আমরা মারাত্মকভাবে মর্মাহত ও চিন্তিত।

অভিযোগ আছে, ঐ ক্লিনিকের ম্যানেজার ও নার্সরা (প্যারামেডিক) অর্থের বিনিময়ে একসঙ্গে অনেক বাচ্চার একাধিক টিকা প্রদান করেন।অর্থ দিলে সেখানে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেন তারা।ক্লিনিকটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত হয়।শ্যামলী রানী ঐ ক্লিনিকে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ কর্মরত।

জানতে চাইলে নার্স (প্যারামেডিক) শ্যামলী রানী বলেন, হুমায়রার মাতা-পিতা বয়স বলতে ভুল করেছিলো।তারা বলেছিলো হুমায়রার জন্ম ১৭ জানুয়ারী-২৩।টিকা প্রদান শেষে তারা বলছে ১৭ ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখ তার জন্ম।জানুয়ারী ১৭ তারিখ মনে করে চারটি টিকা প্রদান করা হয়।তবে হুমায়রার পিতা-মাতা বলছে ভুল করেছে তারা।এখন দোষ চাপাচ্ছেন আমাদের উপর।আমরা মুলত সেখানে গিয়েছিলাম বিসিজি টিকা দিতে।যা বাচ্চার জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিতে হয়।সেই টিকা দিতে গিয়ে পরপর চারটি টিকা দেওয়া হয় আমার বাচ্চাকে।

নার্স ও পিতামাতার একে অপরে প্রতি দোষ চাপালেও বাচ্চাটি আছে ঝুঁকিতে।দুপক্ষের দোষরোপে বলিরপাঠা শিশু হুমায়রা।এখন বাচ্চাটি খুব অসুস্থ।

প্রসঙ্গত, শিশু জন্মের ৬ সপ্তাহ পর ১ম ডোজ, ৯ সপ্তাহ পর ২য় ডোজ, ৯০ দিন পর ৩য় ডোজ প্রদানের নিয়ম।