ময়মনসিংহের নান্দাইলে গভীর নলকূপ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উঠছে। এতে আগুনও জ্বলছে। এতে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের উৎসুক জনতা ভিড় জমান।

উপজেলার মুশুল্লি ইউনিয়নের কিসমত রসুলপুর গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের স্ত্রী মোছা. পারভীন খাতুনের নলকূপে এমনটা দেখা গেছে।

জানা গেছে, মোছা. পারভীন খাতুন গত তিন বছর আগে বাড়িতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। নলকূপ স্থাপনের পর থেকে পানি তোলার সময় হালকা বুদ বুদ শব্দ করত। এ নিয়ে পারভীন খাতুন তেমন গুরুত্ব দেননি। দুদিন আগে নলকূপের মধ্যে বুদ বুদ শব্দ শুনে কৌতূহলবশত পারভীনের বড় ছেলে পলাশ মিয়া নলকূপের পাইপে দিয়াশলাইয়ের কাটি দিয়ে আগুন দেয় এতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে।

দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে গ্যাসের আগুন বেশি দেখা না গেলেও রাতের অন্ধকারে দাউ দাউ করে জ্বলন্ত আগুন দেখা যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা জেনে নান্দাইল থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়াও নান্দাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আবুল কায়সার তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মুশুল্লি ইউনিয়নের কিসমত রসুলপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- গভীর নলকূপের পাশে একটি পাইপ লাগানো রয়েছে। পাইপ দিয়ে বুদ বুদ শব্দ শোনা যাচ্ছে। তার পাশে উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়ে রয়েছেন। নান্দাইলে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে খবরে মানুষজন দেখতে এসেছেন।

সাংবাদিক আসছে শুনে নলকূপের মালিক মো. পারভীন খাতুন এগিয়ে এসে বিস্তারিত জানান।

নলকূপের মালিক মোছা. পারভীন খাতুন বলেন, তিন বছর আগে পানি খাওয়ার জন্য গভীর নলকূপ দিয়েছি। নলকূপ দেওয়ার পর থেকেই বুদ বুদ শব্দ শুনতাম কিন্তু তেমন গুরুত্ব দেইনি। দুদিন আগে ছেলে দিয়াশলাই কাটি দিয়ে আগুন দিলে গ্যাসের আগুন জ্বলে উঠে।

নান্দাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আবুল কায়সার তালুকদার বলেন, গ্যাসের সন্ধানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে গ্যাসের চাপ আছে, তবে দক্ষ লোক না থাকায় বিষয়টি বলতে পারছি না। খনিজ ও জ্বালানি সম্পদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিষয়টি জানাব।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে পাঠিয়েছি। উনি বিষয়টি সরেজমিন দেখেশুনে জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাকে জানাবেন।