ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর সেই দুই আসরে ক্যারিবিয়ান দলের অধিনায়ক ছিলেন ক্লাইভ লয়েড। সাবেক এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তিকে ‘অর্ডার অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি’ পুরস্কারে সম্মানিত। যা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার।
লয়েডের নেতৃত্বে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে বিশ্বকাপ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট সাফল্যের পেছনেও বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন লয়েড। ব্যাটসম্যান হিসেবেও দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার ছিলেন তিনি।
ক্রিকেট চর্চায় এখনও ঘুরে ফিরে আসে লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০-র বেশি টেস্ট খেলেছেন। ৭৪টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে হার মাত্র ১২টি ম্যাচে।
গত রোববার (২৮ জুলাই) গ্রেনাডায় কনফারেন্স অব হেডস অব গভর্নমেন্ট অব দ্য ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির (কারিকম) ৪৭তম বৈঠকে লয়েডকে ওসিসি সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি ড. কিশোর শ্যালো।
তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার এমন একজন মানুষকে নিবেদন করা হল, যিনি কেবল ক্রিকেট খেলে উজ্জ্বল নন, ক্যারিবিয়ানদেরও নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস। ক্রিকেটে ক্লাইভ লয়েডের অবদান অতুলনীয়।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১১০ টেস্ট ও ৮৭ ওয়ানডে খেলা লয়েড অবসর নেওয়ার পর কোচ, নির্বাচক ও ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে ক্লাইভ লয়েডকে নাইটহুডও দেয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।