বগুড়া সদর থানার ওসি বলেন, ‘আমরা তার সন্ধান করছি। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিজ্ঞাপনদাতা আলমগীরের ইন্টারভিউ নিতে চান। তবে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ বিজ্ঞাপন দেয়া আলমগীর কবিরকে খুঁজছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, ওই বিজ্ঞাপনদাতার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য খোঁজ চলছে।
আর্থিক অনটনের কারণে আলমগীর কবিরের তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়া হচ্ছিল না। এই কারণে উপায় না দেখে সম্প্রতি তিনি আশ্রয় নেন বিজ্ঞাপনের। দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’
৩২ বছরের আলমগীর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
আলমগীর বগুড়া শহরের জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের খোঁজের বিষয়টি আমি জানি না। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখছি। কারণ বিভিন্ন মানুষ আমার এই নম্বরে ফোন দিয়ে নানা ধরনের বিব্রতকর কথা বলছেন। এ ছাড়া দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজে আমাকে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমার খোঁজ করে থাকলে আমি তাদের সঙ্গে নিজে যোগাযোগ করব।’
বিজ্ঞাপনদাতা আলমগীরকে খোঁজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখপাত্র শরাফাত ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞাপন দেয়া ব্যক্তির মানবিক কোনো সাহায্যের প্রয়োজন কি না এ জন্য তার খোঁজ করা হচ্ছে।’
এর আগে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে আলাপে আলমগীর বলেন, ‘একা থাকার জন্য তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা কষ্টকর হচ্ছিল। তাই বাসার আশপাশে ভাতের বিনিময়ে পড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। এতে আমার খাবারের চাহিদা পূরণ হতো। বাজার ও রান্নার ঝামেলাও কমত। কে যেন এটি ইন্টারনেটে ভাইরাল
করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করছে। অনেকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে বলছে। কিন্তু এটা সরকারের কোনো ব্যর্থতার বিষয় নয়। মানুষ না বুঝেই বিভ্রান্ত করছে।
‘অনেক সংবাদমাধ্যমে আমার এই বিষয়ে নিউজ করেছে। অথচ তারা কেউ আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।