হিজরি ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিবছর হিসাব হয় ওমরাহযাত্রীর। সৌদি সরকার জানিয়েছে, নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর প্রথম ছয় মাসে হজের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে সৌদি আরবে যান ৪৫ লাখের বেশি মানুষ। খবর গালফ নিউজের।
সৌদি আরবের ওমরাহবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি আবদুর রহমান বিন ফাহদ স্থানীয় টেলিভিশন আল আখবারিয়াকে বলেছেন, প্রতি বছরই ওমরা পালনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশটিতে ৪৫ লাখের বেশি মানুষ পবিত্র ওমরা পালন করেছেন। এই তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা।
নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর পর থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ উমরা ভিসা চালু করা হয়। এর মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ উড়োজাহাজে এবং প্রায় ৫ লাখ বিভিন্ন বর্ডার এলাকা দিয়ে ও ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৫ জন সমুদ্রপথে উমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে যান।
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি উমরাযাত্রী এসেছেন ইন্দোনেশিয়া থেকে, যা ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, দেশটির উমরা পালনকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০৮ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত, দেশটি থেকে উমরা যাত্রীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬৫ জন। চতুর্থ অবস্থানে মিশর, দেশটি থেকে ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৮০ জন উমরা পালন করেন। এরপর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইরাক, দেশটির উমরা পালনকারীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪০ জন। আর ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ থেকে গত বছর উমরা পালন করেছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৯২ জন।
পবিত্র হজ শেষে ফের শুরু হতে যাচ্ছে ওমরাহ পালন। হজের কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিল ওমরাহ পালন এবং ই-ভিসা ইস্যু। গত ২১ জুন (১৫ জিলহজ) থেকে ভিসা ইস্যু শুরু করেছে সৌদি সরকার। আগামী ১৯ জুলাই থেকে সৌদি আরবে যেতে পারবেন ওমরাযাত্রীরা।
এদিকে ওমরা বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি আবদুর রহমান বিন ফাহদ জানিয়েছেন, এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পবিত্র ওমরা পালনকারীর সংখ্যা তিন গুণ করতে চায় সৌদি আরব। অর্থাৎ বছরে ৩ কোটি উমরা পালনকারীতে উন্নীত করতে চায় দেশটি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।