জাপানের হামামাতসুর এনসু সমুদ্রসৈকতে গোলাকৃতির অজ্ঞাত বস্তু পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৈকতে হাঁটতে গিয়ে এক নারী বস্তুটি দেখা পান।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে গোলাকার ওই বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে সমুদ্রসৈকতটিতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে জাপানের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে আসেন ও বস্তুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এক্স-রে স্ক্যান করে দেখা যায়, বস্তুটির ভেতরের অংশ ফাঁপা। পরবর্তী সময়ে বস্তুটির বেশ কয়েকটি ছবি তোলা হয়। সেগুলো আবার পাঠানো হয় জাপানি সশস্ত্র বাহিনী ও উপকূলরক্ষীদের কাছে।
জাপানি কর্মকর্তারা জানান, বস্তুটি আসলে কী, তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি, তবে এটি বিস্ফোরক নয়। এটি একটি বিশাল ধাতব বল, যা সমুদ্রের স্রোতে সৈকতে এসে পৌঁছেছে। লোহার তৈরি মরিচা ধরে যাওয়া বলটির ব্যাস প্রায় দেড় মিটার। এটিতে ধাতুর তৈরি হ্যান্ডেলের মতো একটি অংশ রয়েছে, যা বস্তুটিকে কোনো কিছুতে আটকে যেতে সাহায্য করে।
বস্তুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই অনেকে বলছেন, এটি চীনের কোনো নজরদারি যন্ত্র। অনেকে বলছেন, এটি আকাশ থেকে পড়া ইউএফও। কেউ বা আবার বলছেন, এটি জনপ্রিয় ‘মাঙ্গা সিরিজের’ ড্রাগন বল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।