পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শেষ দিন জানিয়ে দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে এ ঘোষণা দেন শাহবাজ।
বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, আগামী ১৪ আগস্ট হতে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের শেষ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অক্টোবরে যথাসময়েই নির্বাচন হবে। তফশিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডন।
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পরপর অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ আগস্ট। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট হওয়া নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে ইমরানও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। তারপর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ মসনদে বসেন। শাহবাজ ১১টি দলের জোটের সমর্থনে নির্বাচিত হন; যা পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট নামে পরিচিত। ইমরান খান তার সরকার পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শাহবাজ সরকারকে আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নিম্নকক্ষ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়। নতুন নির্বাচনের আগে ম্যান্ডেটসহ একটি ‘অরাজনৈতিক’ সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়।
তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। শাহবাজ বলেন, ‘গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জাতি আমাকে দেশ পরিচালনার পবিত্র দায়িত্ব দেয়। সংবিধান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে এই দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেব।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।