আফগানিস্তান থেকে গত ৩১ আগস্ট সেনা প্রত্যাহারের পর প্রথমবারের মতো তালেবানের নতুন সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহীন জানান, কাতারের দোহায় শনিবার ও রোববার মুখোমুখি অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। খবর আরব নিউজ ও রয়টার্সের। বৈঠকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকসহ দোভাষীদের নিরাপত্তার ইস্যুটি উত্থাপন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অপহৃত নাগরিক মার্ক ফ্রেরিচসকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলবেন তারা।
বৈঠকে আরও প্রাধান্য পাবে আল কায়েদাকে আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়টিও। আফগানিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ, যিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে শান্তি চুক্তি করার প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের এই টিমে থাকছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী বিশেষ প্রতিনিধি টম ওয়েস্ট, ইউএসএআইডির শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা সারাহ চার্লস।
অন্যদিকে, তালেবানের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেবেন কেবিনেট সদস্যরা। ২০ বছরের আফগানযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে গত ৩১ আগস্ট দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার সমাপ্তি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এক লাখ ২৪ হাজার আমেরিকান এবং আফগান দোভাষীকে। কিন্তু সময়মতো লোকজন সরাতে না পেরে ঝুঁকির মধ্যে পড়েন আফগান দোভাষীরা, যারা গত ২০ বছর ধরে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের সহযোগিতা করেছেন।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত ১৫ আগস্ট দখল করে নেয় তালেবান। এরপর থেকে অরাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির অর্থনীতিতে ধস নেমে আসে। কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। বন্ধ হয়ে যায় বিদেশি সহায়তা। খাবারের সংকটে পড়ে আফগানরা তোশক-বালিশও বিক্রি করেছেন এমন খবরও পাওয়া গেছে। তালেবানের নতুন সরকারের এক মাস হয়েছে।
তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে নানা ধরনের সংকট আর ভয়-ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন আফগানরা। এর মাঝে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হন শতাধিক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।