ফিলিপিন্সে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কমপাসুর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট হড়কা বান ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের এসব ঘটনায় আরও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দেশটির দুর্যোগ সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) একটানা বাতাসের বেগ নিয়ে সাগর থেকে স্থলে উঠে আসে কমপাসু। স্থলে উঠে আসার আগে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্টাংশ কমপাসুর সঙ্গে মিশে যায়। আগেই ঘূর্ণিঝড়ের মুখে থাকা প্রায় ১৬০০ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দেশটির দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, তাদের আঞ্চলিক ইউনিটগুলোর পাঠানো প্রতিবেদনে উত্তরাঞ্চলীয় বেনগুয়েত প্রদেশে ভূমিধসে চার জনের এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ পালওয়ানে হড়কা বানে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তারা এসব প্রতিবেদন যাচাই করে দেখছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। নিখোঁজ ১১ জনের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। এদের অধিকাংশই ভূমিধসগুলোর পর নিখোঁজ হয়েছেন। সাত হাজার ছয়শরও বেশি দ্বীপমালা নিয়ে গঠিত ফিলিপিন্সে বছরে প্রায় ২০টির মতো ঝড় বা টাইফুন আঘাত হানে, এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের সময় প্রাণঘাতী বহু ভূমিধমের ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতার্তে সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলার সামগ্রিক উদ্যোগ পর্যবেক্ষণ করছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন তার মুখপাত্র হ্যারি রোকে।
রোকে জানান, উদ্ধারকারী সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন, পাশাপাশি বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ফের সচল করার ও সড়ক পরিষ্কার করার কাজ চলমান আছে। মঙ্গলবার কমপাসু ফিলিপিন্স ছেড়ে ফের সাগরে চলে যাবে বলে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।