দক্ষিণ আফ্রিকার খালাথি গ্রাম। ওই গ্রামে রয়েছে একটি বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ। সেখানে সচরাচর মানুষের যাতায়াত ছিলো না। গৃহপালিত পশুদের চারণক্ষেত্রই হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। সম্প্রতি সেখান থেকেই মাটি খুঁড়ে মেলে উজ্জ্বল পাথরের খোঁজ। ঠিক যেন হিরা! এক পশুপালকের এই আবিষ্কারের কথা জানার পর বড়লোক হতে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে লোকজন ছুটছেন সেখানে।
শত শত লোকজনের এই হুল্লোড় নিমেষে নজর টেনেছে সারা বিশ্বের। হিরা পাওয়ার খবর শুধু আফ্রিকাতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে। ওই এলাকায় মাটির নীচে হিরা লুকিয়ে রয়েছে এমন বিশ্বাস নিয়ে মাটি খুঁড়ছে শত শত লোক। কিন্তু মাটি খুঁড়ে কোয়ার্জ ছাড়া আর কিছুর সন্ধান এখনও মেলেনি। আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশটির বেশির ভাগ মানুষই দরিদ্র সীমার নীচে বাস করে। হিরা পাওয়ার খবর পেয়ে বহু মানুষ ছুটে গিয়েছেন ওই এলাকায়। তাদের অনেকেই নানা রকম পাথর উদ্ধার করেছেন। ওই অঞ্চলে ঘাঁটি ফেলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে একাধিক হিরা উত্তোলক সংস্থাও। কিন্তু সত্যিই সেখানে হিরা পাওয়া গেছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূতত্ত্ববিদদের একটি দল পাঠানো হয়েছে সেখানে। যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা খালি করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এরপর জানা যাবে, উদ্ধার হওয়া পাথরগুলো হিরা কি না। তবে মহামারি করোনার এই সময়ে একসঙ্গে এতো লোকের জমায়েত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।