ভারতের উদ্বেগ উপেক্ষা, ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ নির্মাণ করতে যাচ্ছে চীন

 

চৌদ্দতম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে চীনের পার্লামেন্ট। এতে কোটি কোটি ডলারের বেশি কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

চীনের এসব প্রকল্পে মধ্যে অরুনাচল প্রদেশের সীমান্তের কাছে তিব্বতের ব্রহ্মপুত্র নদে জলবিদ্যুত প্রকল্পও রয়েছে। যদিও এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। (খবর এনডিটিভির)

২০৩৫ সাল নাগাদ জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

দুই হাজার সদস্যের চীনা পার্লামেন্টের ছয় দিনের অধিবেশন শেষে বৃহস্পতিবার এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যই ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির। অধিবেশনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা অনুসারে, ব্রহ্মপুত্রের সর্বনিম্ন বাঁকে বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

ব্রহ্মপুত্র হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের কাছের মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পড়েছে।

চীন বাঁধ নির্মাণ করলে নদীতীরস্থ অঞ্চলগুলোর জন্য তা উদ্বেগের কারণ রয়েছে। ভারত সরকার অনবরত চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়ে বার্তা দিয়ে আসছে।

তবে এসব উদ্বেগকে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি বলছে, তাদের স্বার্থের কথাও মাথায় রাখা হবে।

তবে বছরখানেকের মধ্যেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বায়ত্তশাসিত তিব্বতের কর্তৃপক্ষ