হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপাজন করার নাম প্রবাস। শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত মানুষ গুলো যখন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে প্রবাসে পাড়ি জমান। ভাগ্য ভালো হলে এদের মধ্যে কেই ভালো কাজের সুযোগ পায়, তবে ৮০%থেকে ৯০ % প্রবাসীর হাড়ভাংগা খাটুনির পরেও পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাওয়া অনেক কঠিন।

এই সব বাস্তবতা নিয়ে অনেক কষ্টে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী যখন রাতদিন এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তখন প্রাকৃতিক মানব শত্রু করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব।
অদৃশ্য ভাইরাস থেকে বাঁচতে শুরু হলো ঘরে থাকার প্রতিযোগিতা। ঘরে বসে জীবন রক্ষা পেট ও পরিবারের দায়িত্ব কে নিবে?
যে দেশের অভিবাসী কর্মী সরকার থেকে কোম্পানির মালিকে নিদর্শনা, অল্প কিছু মালিক শ্রমিকের খোঁজ রাখলেও লক্ষ লক্ষ শ্রমিক অনাহারে। বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা করা দূরে থাক প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট সেবা দেওয়া মত ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে প্রায়।

মাসের পর মাস ঘরে থাকার প্রতিযোগিতা মালয়েশিয়া প্রবাসী আজ সর্বশান্ত। জোনাকি পোকার মত টিপ টিপ করছে তাদের স্বপ্ন গুলো। স্বপ্ন গুলো কে বাঁচিয়ে রাখতে কত না চেষ্টা, তবুও রাষ্ট্র থেকে নেই কোন নূন্যতম সহায়তা।

প্রবাসে কাজ না থাকায় মাস শেষে বেতন না পাওয়া প্রবাসীদের সার্বিক পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপের দিখে যাচ্ছে।

এমন খারাপ পরিস্থিতিতে দেশে যাওয়ার মত সাহস হচ্ছে না, তবুও অনেক প্রবাসী দেশে চলে যেতে চাইলেও সরকারের টিকা নেওয়া ফন্দিতে আটকে আছে যা আরো প্রবাসীদের জন্য কষ্ট দায়ক।

কেলাং কাপারে একটি কারখানায় ৩০ জন বাংলাদেশী কাজ করেন। গত তিন মাস কারখানা বন্ধ থাকায় অর্থ সংকটে দিন কাটছে তাদের, মালিক পক্ষ খাওয়ার টাকা দিলেও কারখানা কবে চালু হবে নাকি হবে না কিছু জানা নাই তাদের।

একই অবস্থা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্য রাজ্যর মালয়েশিয়া প্রবাসীদের।