ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ড্রোন হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। আধা বর্গকিলোমিটারের কম আয়তনের শিবিরটিতে গতকাল সোমবার শুরু হওয়া এই অভিযান ছিল গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
এ হামলায় জেনিনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলমান এ হামলাটিকে ‘বিশাল সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান’ হিসেবে দাবি করেছে। তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করেছেন, সেখানে নৃসংসতা চালাচ্ছে তারা।
সোমবার (৩ জুন) রাত ১টায় জেনিনে প্রথম হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। যা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এ কথিত অভিযান শেষ হতে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
জেনিনে সোমবার হামলা চালাতে ইসরায়েলিরা দুই বিগ্রেড— অর্থাৎ ১ থেকে ২ হাজার সেনা পাঠায়। তাদের সহায়তা করতে সাথে পাঠানো হয় সাঁজোয়া বুলেডোজার ও স্নাইপার। এছাড়া জেনিনের বিভিন্ন ভবনে হামলা চালাতে ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে তারা।
জেনিনে প্রবেশের সময় সশস্ত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ইসরায়েলিরা। তখন দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ হয়। পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে গত কয়েক মাস ধরে ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলিরা। তাদের দাবি, এখানে সশস্ত্র কার্যক্রম চালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।
২০০২ সালে দ্বিতীয় ইনতিফাদার সময়, সর্বশেষবার জেনিনে একসঙ্গে সেনা ও আকাশ শক্তি ব্যবহার করেছিল ইসরায়েল। এক সপ্তাহ ধরে চলা সেই যুদ্ধে ৫২ ফিলিস্তিনি ও ২৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। যার মধ্যে একটি ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ১৩ ইসরায়েলির।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে জেনিনে এ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এতে সম্মতি জানিয়েছে; কারণ তারা হামাস, প্যালিস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ এবং অন্যান্য সশস্ত্র দলগুলোর কাছ থেকে সাধারণ ইসরায়েলিদের রক্ষার বিষয়টিকে সমর্থন জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।